এমআইএম-কে দলে নিয়ে লাভ হবে তৃণমূলের?
কট্টর ইসলামপন্থী দল এমআইএম-এর নাম করা নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কি তাদের শেষ পর্যন্ত লাভ হবে? পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে ধর্মীয় মেরুকরণ যে প্রধান ফ্যাক্টর হতে পারে, তা কম বেশি সকলেই মানছেন। তৃণমূল এবং বিজেপির মূল রাজনৈতিক ঝোঁকও সে দিকেই। তারই মধ্যে বিহার নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের কপালে ভাঁজ ফেলেছিল। আসাদুদ্দিন ওয়েইসির এমআইএম বিহারে পাঁচটি আসন পেয়েছে। কট্টর ইসলামপন্থী দলটি বিহারের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ জোটের ভোট কেটেছে বিভিন্ন পকেটে। বস্তুত, তাদের পাঁচটি আসন বিহার নির্বাচনের ভোল বদলে দিয়েছে। বিহারের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরেই এমআইএম জানিয়ে দিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গেও তারা আসন দেবে। ফলে পশ্চিমবঙ্গেও তাদের মুসলিম ভোট কাটার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সোমবার তৃণমূলের রাজনৈতিক চাল সেই চিন্তার খানিকটা হলেও সুরাহা করতে পেরেছে।
সোমবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ এমআইএম-এর সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা আনোয়ার হাসান পাশা। তৃণমূল ভবনে গিয়ে সপারিষদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলই সব চেয়ে 'ধর্মনিরপেক্ষ' দল। বলা বাহুল্য, তাঁর মন্তব্যটি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক হওয়ার যথেষ্ট জায়গা আছে। যে রাজ্যে বামেদের অস্তিত্ব আছে, সেখানে তৃণমূলকে আদৌ সব চেয়ে ধর্মনিরপেক্ষ দল বলা যায় কি না, তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু এও ঠিক, এমআইএম-এর পক্ষে বামেদের সঙ্গে হাত মেলানো সম্ভব নয়। কারণ, তারা ধর্মভিত্তিক দল। বিহারেও যে কারণে তারা বামপন্থীদের নিয়ে তৈরি মহাজোটে যোগ দিতে পারেনি।