
পদ্মায় ইলিশ ধরা নিষেধ, তবুও ভারতীয় জেলেরা ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইলিশ
পদ্মায় ইলিশ ধরা নিষেধ। বাংলাদেশী জেলেরা হাত গুটিয়ে বসে আছে। অন্যদিকে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশী জলসীমা থেকে ইলিশ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে প্রতিবছরই ভারতীয়রা ইলিশ ধরে নিয়ে যায়। এবারো তার ব্যাতিক্রম নয়। এমনি অভিযোগ পদ্মা পাড়ের জেলেদের। আবার সরকারী খাদ্য সহায়তাও জুটছেনা সবার ভাগ্যে। তাদের দিনটিও ভাল যাচ্ছেনা। জেলেরা বলছেন, নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে তারা ভারতীয়দের মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া দেখছেন। কিন্তু তাদের ঘরে খাবার নেই। মাছ ধরার অনুমতিও নেই।
ইলিশ মাছের প্রজনন নির্বিঘেœ করতে ২২ দিনের জন্য নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা, বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ। মৎস্য অধিদপ্তর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে অভিযানও চলছে। জাল কেড়ে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাও ঘটছে। বাংলাদেশে নদ-নদীতে মৎস্য শিকার বন্ধ থাকায় সরকার জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে মাথাপিঁছু ২০ কেজি করে চাল দিচ্ছে। কিন্তু শতভাগ জেলে এই চাল পাচ্ছেন না। ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব রাজশাহীর পবা উপজেলার নবগঙ্গা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্য ২২ জন। তাদের সমিতির নিবন্ধনও আছে। নিবন্ধন নম্বর-১৩৭৪। কিন্তু এই সমিতির একজন জেলেও সরকারের খাদ্য সহায়তা পাননি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক আইনাল হক বলেন, ভারতীয়রা চোখের সামনে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা মাছ ধরতে পারছি না। সরকার আমাদের সহায়তাও করছে না।
প্রবীন জেলে আইনালহক বলেন, পদ্মানদীতে এবার এমনিতেই ইলিশ কম। তারপরও ভারতীয় জেলেরা ইলিশ শিকার করছেন। পেটে ক্ষুধা নিয়ে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে তারা সেই দৃশ্য দেখছেন। তাদের ইলিশ তো দূরের কথা, জাল নিয়ে পদ্মায় নামারই অনুমতি নেই।