কুষ্টিয়ায় চুক্তি লঙ্ঘনে কালো তালিকাভুক্ত হচ্ছে ২৬১ চালকল
চালকল মালিকদের অসহযোগিতার কারণে কুষ্টিয়ায় বোরো মৌসুমে সরকারের চাল সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হয়নি। খাদ্য বিভাগের চুক্তি করেও এ মৌসুমে সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেনি অনেক চালকল মালিক। এ কারণে জেলার ২৬১ চালকলকে কালো তালিকাভুক্তি করা হচ্ছে। পাশাপাশি এসব মিলের জামানত বাজেয়াফত, প্রণোদনা বাতিল ও আগামী দুই মৌসুম চাল সরবরাহ থেকে চুক্তির বাইরে রাখার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে খাদ্য বিভাগ।
জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে ৩৪ হাজার মেট্রিক টন মোটা চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে সময় বাড়িয়েও সংগ্রহ হয়েছে ২২ হাজার মেট্রিক টনের কিছু বেশি। জানা গেছে, জেলায় অটো ও হাসকিং মিলিয়ে চালকল রয়েছে ৫৩৫টি। এর মধ্যে অটো চালকলের সংখ্যা ৪৯টি। আপদকালীন মজুদের লক্ষ্যে চলতি মৌসুমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে এসব চালকল থেকে চাল কেনার চুক্তি করে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ। তবে চুক্তিভঙ্গ করে এবার ২৫৮টি হাসকিং (ম্যানুয়াল) ও ৩টি অটোরাইস মিল এবার এক ছটাক চালও সরবরাহ করেনি। ১২টি মিল আংশিক সরবরাহ করেছে। তবে ২৬৫টি চালকল পুরো চাল সরবরাহ করেছে। জেলা খাদ্য অফিস সূত্র জানিয়েছে, লক্ষ্যমাত্রার ৩৪ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ২২ হাজার মেট্রিক টনের সামান্য কিছু বেশি সংগ্রহ হয়েছে। এদিকে, চুক্তি করেও চাল না দেয়ার অভিযোগে জেলার ২৬১ চালকলকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে খাদ্য বিভাগ। পাশাপাশি এসব মিলের জামানত বাজেয়াফত, প্রণোদনা বাতিল ও আগামী দুই মৌসুম চাল সরবরাহ থেকে চুক্তির বাইরে রাখার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে খাদ্য বিভাগ। তবে কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বলেন, এ বছর দেশে প্রচুর ধান উৎপাদনের পরেও ধানের বাজার বেড়ে যায়। আর বোরো মৌসুমে মোটা ধানের উৎপাদন হয় একেবারেই কম। এ কারণে সরকার নির্ধারিত দরের তুলনায় চালের উৎপাদন খরচা বেশি পড়ে গেছে। এ কারণে মিল মালিকরা কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা লোকসান দিয়েও চাল সরবরাহ করেছে। তবে যারা চুক্তি করে চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার আগে ভাবলে ভাল হয়। ছোট মিলররা এমনিতেই দেউলিয়া হয়ে গেছে, তার ওপর কড়া পদক্ষেপ নিলে তারা আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না।