কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে জলাবদ্ধতা এ দুর্ভোগের অবসান হোক

দৈনিক আজাদী সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২০, ০৬:০০

.tdi_2_543.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_543.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});চট্টগ্রাম মহানগরীর অনেক সমস্যা। এখানে দ্রুত মানুষ বাড়ছে। পরিকল্পিতভাবে নগরায়ণের কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। মানুষ যেখানে সেখানে বাড়ি তৈরি করছে। আগে যেখানে পানি জমতো, সেগুলো ভরাট করা হচ্ছে। পাহাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত এই মহানগর। বিশেষজ্ঞদের মতে, চট্টগ্রাম নগরীর বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম চাক্তাই খাল। বেশ কয়েক বছর আগে চাক্তাই খালের তলা পাকা এবং দুই পাশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বেশি দিন তা টিকে নি। আবার খাল ভরাট হয়ে যায়। এতে খালের আশপাশের এলাকা চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বউবাজার, মাস্টারপোল, মিয়াখাননগর, ডিসি রোড, চকবাজার, বাকলিয়া ও কাপাসগোলা এলাকায় বারবার জলাবদ্ধতা দেখা যায়। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে খালের দুই পাড় উপচে তলিয়ে যায় বসতঘর, রাস্তাঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় জোয়ার হলে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এই সমস্যা এখন আরো প্রকট আকার নিয়েছে। গত ২২ আগস্ট দৈনিক আজাদীতে ‘এ দুর্ভোগ শেষ হবে কবে’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারী বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের দুর্দশা কোনোভাবেই কাটছে না। বর্ষা মৌসুম এলেই তাদের চোখে মুখে রাজ্যের হতাশা নেমে আসে। কারণ বর্ষা মৌসুমে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায়ও প্রায় সময় নিয়ম করে দুইবার ডুবে যায় নিম্নাঞ্চল। সাথে যদি ভারী বৃষ্টিপাত থাকে তাহলে তো কথাই নেই। প্রতি বছরই বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের প্রশ্ন এ দুর্ভোগ কবে শেষ হবে। তাঁরা জানিয়েছেন, উপায়ন্তর না দেখে অনেকে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের দুঃখ জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসনে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চাক্তাই ও রাজখালী খালে জোয়ারের পানি প্রতিরোধে স্লুইচ গেট নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করে। উদ্বোধনের দুই বছরেও কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। উল্টো স্লুইচ গেট নির্মাণের জন্য কর্ণফুলী মোহনায় চাক্তাই খাল ও রাজাখালী খালের একাংশ ভরাট করার ফলে পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মত দেন ব্যবসায়ীরা। এখন প্রতি বছরই জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ছে। অনেক জায়গায় সড়ক উঁচু করা হলেও সেসব সড়কও পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই ব্যবসায়ীদের দাবি, জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে চাক্তাই খালের দুই পাড়ের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে। পাশাপাশি কর্ণফুলী নদী ড্রেজিং করে পানি ধারণক্ষমতাও বাড়াতে হবে। আজাদীতে প্রকাশিত অন্য একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সময় চাক্তাই খাল দিয়ে নৌপথে শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য হতো। কালের পরিক্রমায় সেই চাক্তাই খাল চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের দুঃখে পরিণত হয়েছে। এছাড়া দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, পলি জমে খাল ভরাট হয়ে যাওয়া এবং তলা পাকাকরণের কারণে স্থায়ীভাবে নাব্যতা হারায় চাক্তাই খাল। ফলে নৌ-বাণিজ্য বর্তমানে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। অপরদিকে স্লুইচ গেট নির্মাণের জন্য খালের একাংশ ভরাট করার কারণে ব্যাহত হচ্ছে নৌ পথে পণ্য পরিবহন। বাধ্য হয়ে চাক্তাই মোহনা পেরিয়ে পণ্য লোড আনলোড করতে হয়। এতে পণ্য পরিবহনে খরচও বেড়ে গেছে। জানা গেছে, স্লুইচ গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন দুই বছর আগে করা হলেও ড্রয়িং-ডিজাইন শেষে রেগুলেটরের কাজ শুরু হয়েছে ৮-৯ মাস আগে। নির্মাণের সুবিধার্থে চাক্তাই খালের কর্ণফুলী মোহনা এবং রাজাখালী খালের একাংশ ভরাট করা হয়েছে। একপাশ ভরাট না করে যদি পুরোটাই বাঁধ দিয়ে কাজ করা হতো, তাহলে আরো দ্রুত গতিতে কাজ শেষ হতো বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত দুই খালের স্লুইচ গেটের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৩৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন স্লুইচগেট ও রেগুলেটরগুলো নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই মিলবে না। এ ছাড়া ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান সময় মতো বাস্তবায়ন করা হলে এই দুর্ভোগ এত চরম আকার ধারণ করত না। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে এই সমস্যা সমাধান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ, বন্দরসহ সব সেবা সংস্থার সমন্বয়ে একটি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা চাই, দ্রুত এ দুর্ভোগের অবসান হোক।.tdi_3_e20.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_e20.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও