কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


মা-মেয়ের প্রতি বর্বরতা

.tdi_2_c8c.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_c8c.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাংয়ে গরু চুরির অভিযোগে তিন নারীসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে এবং মা-মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে প্রকাশ্যে ঘোরানো হয়েছে। এ রকম ছবি ও ভিডিও গত শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নারীর প্রতি বর্বরতার এই ছবিকে ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ কাজটি যারা করেছেন তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বর্বরতার শিকার একই পরিবারের চার সদস্যসহ (তিন নারী) পাঁচজনকে পিটুনি দেওয়ায় তারা আহত হন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ওইদিন সন্ধ্যার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাঁচজনকে নেওয়া হয় চকরিয়া থানায়। এরপর গরু চুরির অভিযোগে হারবাং ইউনিয়নের বৃন্দাবনখিল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহবুবুল হকের করা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে তারা জেলহাজতে রয়েছেন জানিয়ে চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান আজাদীকে বলেন, গরু চুরির ঘটনায় থানায় রুজু হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ জনকে শনিবার দুপুরে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদা আক্তার গতকাল সন্ধ্যায় আজাদীকে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পর একদল পুলিশ তিনজন নারীসহ ৫ জনকে জরুরি বিভাগে আনে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সবাইকে নিয়ে যায়। হারবাংয়ের ঘটনার কোনো আহত রোগী হাসপাতালে ভর্তি নেই। ঘটনার শুরু যেভাবে : শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে একটি গরুর বাছুর চুরি করে সিএনজি টেক্সিতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া দেয়। টেক্সিটি মাটির রাস্তায় কাদায় আটকা পড়লে চালক পালিয়ে যায়। গরুর মালিকসহ উৎসুক জনতা টেক্সির ভেতরে থাকা তিন নারী ও দুই পুরুষকে আটক করে। গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় বাছুরটি। ক্ষুদ্ধ জনতা তাদের পিটুনি দেয় এবং রশি দিয়ে বেঁধে ও টেনে দুই নারী মা পারভীন ও মেয়ে শেলিকে সড়কে হাঁটানো হয়। এই চিত্র শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গরু চোর মামলার আসামিরা হলেন পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ছুট্টু (২৭), চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিরহাট এলাকার শহীদের কলোনির মৃত আবুল কালামের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৪০), ছেলে মো. এমরান (২১), মেয়ে সেলিনা আক্তার শেলি (২৮) ও রোজি আক্তার (২৩)। এ সময় টেক্সি চালক পালিয়ে যায়। প্রথমজন ছাড়া তিন নারী ও এক পুরুষ একই পরিবারের সদস্য। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিটানো ও দুই নারীর কোমরে রশি বেঁধে হাঁটানোর খবর পেয়ে হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম চৌকিদার পাঠিয়ে জনতার রোষানল থেকে তাদের উদ্ধার করে ৩টার দিকে পরিষদে নিয়ে আসেন। এরপর তার উপস্থিতিতে বিকাল ৫টার দিকে হারবাং ফাঁড়ির পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, পাঁচজনকে ইউনিয়ন পরিষদের আনার পর চেয়ারম্যান নিজেও তাদেরকে পিটিয়েছেন। তবে পিটানোর খবর সঠিক নয় দাবি করে চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, যখন গরু চুরির ঘটনা ঘটে তখন আমি ব্যক্তিগত কাজে চট্টগ্রামের কলাউজান ছিলাম। চৌকিদার পাঠিয়ে জনতার রোষানল থেকে তাদের উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। ৫টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে এসে প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসিকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করি। ওসির নির্দেশনা মোতাবেক ধৃতদের হারবাং ফাঁড়ির পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই পারসিত চাকমা বলেন, খবর পেয়ে তিন নারী ও দুই পুরুষকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে জব্দ করা হয় একটি স্প্রের বোতল, বাট ছাড়া একটি ছোরা, একটি কালো স্কচটেপ, একটি মোবাইল ও গাড়ির চাবি। শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ফুটেজে দেখা যায়, দুই নারীকে কোমরে রশি বেঁধে প্রকাশ্যে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন সচেতন লোকজন। এই ঘটনাটিকে ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়ে তারা বলেছেন, এই কাজের সঙ্গে অতি উৎসাহী যারাই জড়িত থাকুক না কেন, শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান আজাদীকে বলেন, গরু চুরির বিষয়টি যেমন অপরাধ, তেমনি আইন হাতে তুলে নিয়ে কাউকে এভাবে রশি দিয়ে বেঁধে প্রকাশ্যে ঘোরানোও অপরাধ। অতি উৎসাহী কারা এমন কাণ্ড করেছেন তাদেরকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে আদালতের নির্দেশে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তদন্তে চেয়ারম্যানের কোনো ইন্ধন থাকলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।.tdi_3_454.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_454.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন