ওসমানী নগরের দুই ইউপির কাজী নিয়োগে স্বচ্ছতা দাবি প্রার্থীদের

মানবজমিন ওসমানীনগর প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ও গোয়ালাবাজার ইউনিয়নে স্বচ্ছ ও বিধি মোতাবেক নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার (কাজী) নিয়োগ দাবি করেছেন আবেদনকারী প্রার্থীরা। রোববার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন। এ সময় তারা বলেন নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার পদটি খুব স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ। এই পদে যোগ্য লোক নিয়োগে কোনো বিকল্প নেই। এ কারণে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে আইনি প্রক্রিয়ায় দুটি ইউনিয়নে কাজী নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল হওয়ার দাবি করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে কাজী পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাজপুর ইউপির আবেদনকারী মো. আজমল আলী, মো. রশিদুর রহমান, গোয়ালাবাজার ইউপির আবেদনকারী মো. শায়েক মিয়া ও মোহাম্মদ এমদাদুল হক। লিখিত বক্তব্য রাখেন কাজী পদের প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, অবসরজনিত কারণে গত বছর ওসমানীনগর উপজেলার ৫ নং গোয়ালাবাজার ও ৬ নং তাজপুর ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার (কাজী) পদ শূন্য হয়ে যায়। পরে শূন্য পদে কাজী নিয়োগে উদ্যোগ নেন তাজপুরের তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইউনূস আলী। তিনি গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের জন্য ২০১৮ সালের ১লা অক্টোবর এবং তাজপুর ইউনিয়নের জন্য ২০১৯ সালের ২রা জুলাই নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার প্রার্থীদের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেন। তার বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক তাজপুর ইউনিয়ন থেকে ১৫ জন ও গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন থেকে ১৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। বিজ্ঞপ্তির পর প্রাপ্ত আবেদন বাছাইয়ের জন্য ওই বছর ২৯শে ডিসেম্বর উপদেষ্টা কমিটির সভা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মতে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পুলিশের কাছে দেয়া হয়। গত ২১শে জুলাই পুলিশের ডিএসবি’র দপ্তর থেকে আবেদনগুলো ফেরত আসে। গত ৪ঠা আগস্ট স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান সাব- রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সভা আহ্বান করার নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে ৫ই আগস্ট সভা আহ্বান করা হলেও অসুস্থতাজনিত কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (করোনাভাইরাস আক্রান্ত) উপস্থিত হননি। তারা বলেন, এমপি মোকাব্বির খান গত ২৮শে ডিসেম্বর তাজপুর ইউনিয়নে কাজী নিয়োগে মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ নামের এক প্রার্থীর পক্ষে ডিও দিয়েছেন। গোয়ালাবাজারেও তিনি আরেক প্রার্থীর পক্ষে ডিও দিয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি উত্থাপন করে বলেন, ‘সংসদ সদস্য নিয়োগ প্রক্রিয়া কমিটির সদস্য হয়েও পছন্দনীয় লোককে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে পারেন না। তারা ডিও লেটার গ্রহণ না করার দাবি জানান। তাজপুর ইউনিয়নের আবেদনকারী মো. আবুল কালাম আজাদ শতভাগ সরকারি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি তথ্য গোপন করে নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার পদে আবেদন করেন। গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের আবেদনকারী মো. আব্দুল মোমিন একজন সক্রিয় জামায়াত-শিবির নেতা এবং তিনি এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি না করতে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও