নগর উন্নয়নে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর হোক।। নবনিযুক্ত প্রশাসকের সাফল্য কামনা

দৈনিক আজাদী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২০, ০৬:৫৭

.tdi_2_a5f.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_a5f.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ মাত্র ১৮০ দিন। কিন্তু কর্মদিবস হিসেবে তিনি পাচ্ছেন ১২৫ দিন। কেননা সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটি আছে ৫৫ দিন। এ বিষয়ে দৈনিক আজাদীতে গত ১৬ আগস্ট ‘স্বপ্নপূরণে যেভাবে এগুতে চান সুজন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে প্রশ্ন উত্থাপন করে বলা হয়েছে, নির্ধারিত দিনগুলোতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন কতটুকু নাগরিক প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন? অবশ্য দায়িত্ব পালনের গত ১০ দিনে নিজস্ব কর্মপদ্ধতিতে জানান দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। আছে নির্ধারিত ছয় মাসের মধ্যে দৃশ্যমান কিছু করে দেখানোর প্রত্যয়ও। এ প্রসঙ্গে খোরশেদ আলম সুজন দৈনিক আজাদীকে বলেন, নাগরিক দুর্ভোগ নিরসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। নগরবাসীকে স্বস্তিকর ও মানবিক শহর উপহার দিতে চাই। নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে চাই। এ জন্য যা যা করণীয় তার সবটুকুই করব। সপ্তাহের প্রতিদিনই মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। এখনো পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছি। বাকি দিনগুলোতেও সার্বক্ষণিক মাঠে থাকব। আসলে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এগুলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়ন করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চসিক প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর রাজধানীর মিন্টু রোডে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়ন করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সাক্ষাৎকালে নবনিযুক্ত প্রশাসক চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম চসিক প্রশাসককে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা, পরামর্শ ও সার্বিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামের উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। কোনো অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না বলে জানান নবনিযুক্ত প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শকে আমলে নিয়ে নগরীর সকল সমস্যা নিরসন এবং নাগরিক সেবা বৃদ্ধি করে একটি আধুনিক-পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দিতে সক্ষম হবো। নগর বিশ্লেষকরা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামের ভাগ্যের তেমন পরিবর্তন হয়নি। সারা দেশে যে পরিমাণ উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে এবং হয়েছে, সেই তুলনায় এখানে তেমন উন্নয়ন হয়নি। চট্টগ্রামের দুঃখ চাক্তাই খাল খননের কাজ এখনো শেষ হয়নি, রাস্তাঘাটের যথাযথ উন্নয়ন হয়নি, পাহাড়-কাটা থামেনি, বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম শহরে যেতে অপরিসীম যানজট সংকটের সমাধান হয়নি। ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়েছে কিন্তু যানবাহনের জটের সমস্যার অবসান হয়নি। অনেকে মনে করেন এই শহর অভিভাবকহীন। একপক্ষ অন্যপক্ষকে দোষারোপ করে চলেছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলে নগরের সব দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বলে এই দায়িত্ব চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। যার কারণে অনেক সমস্যার সমাধান হয়নি। জলাবদ্ধতার সংকটের সমাধানও এখনো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নানা সময়ে ক্ষোভ ঝাড়লেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। মাত্র ১৮০ দিনের দায়িত্ব নিয়ে নবনিযুক্ত প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নগর উন্নয়নে যে অঙ্গীকার করেছেন, তার জন্য তাঁকে অভিবাদন জানাই। তিনি চসিকের প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বলেছেন, দেনা, কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা এবং ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী সময়ই’ হলো বড় সমস্যা। চট্টগ্রামের প্রতি নির্মোহ ভালোবাসা আর উপলব্ধি নিয়ে তিনি যে চিন্তা করেছেন, আমরা প্রত্যাশা করবো তিনি সমস্যাগুলো অতিক্রম করতে পারবেন। সংকটে-দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যেভাবে আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন, নগরের সংকট নিরসনেও তিনি সচেষ্ট থাকবেন-এটাই আমাদের কামনা।.tdi_3_626.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_626.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও