বিসিসিআইয়ের কোষাগারে টান পড়ছে
কোভিড-১৯ বিশ্ব অর্থনীতিতে থাবা বসিয়েছে। তার ব্যতিক্রম নয় ভারতীয় ক্রিকেটও। বহুজাতিক সংস্থা নাইকির সঙ্গে টানা চার বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হতে চলেছে ভারতীয় বোর্ডের। বিরাট কোহলিদের পোশাকে গত চার বছর ধরে যে নাইকির লোগো দেখা যেত, সেটা আগামী সেপ্টেম্বরের পর থেকে আর দেখা যাবে না। পাশাপাশি শনিবার মুম্বাই থেকে ভারতীয় বোর্ড সূত্র থেকে জানা গেছে, যদি চলতি বছরে আইপিএল হয় তাহলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং সরাসরি সম্প্রচার করা চ্যানেল ‘স্টার স্পোর্টস’ থেকেও স্পন্সরশিপ বাবদ অর্থ আরও কমে যাবে।
কোভিড-১৯ এর ফলে অন্যান্য স্পন্সরশিপের অর্থ কমবে বলেও জানা গেছে। শুধু ক্রিকেটারদেরই পোশাকের লোগোর অর্থ কমবে তা নয়, কমতে পারে স্টেডিয়ামের ভেতরে যেসব বিজ্ঞাপনের বোর্ড লাগানো থাকে তার মূল্যও। সব মিলিয়ে সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট সংস্থার ভাঁড়ারে কোভিড-১৯ যে থাবা বসিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্ব অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খানিকটা শঙ্কিত। বিশ্ব বাজারের মন্দা ভাবিয়ে তুলেছে ভারতীয় বোর্ডকে।
নাইকির সঙ্গে চুক্তির যে বেস প্রাইস, সেটা কমানো মানে বোর্ডের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়বে। কিন্তু নাইকির পক্ষেও বোর্ডের সঙ্গে বছর দশেকের চুক্তি অনুযায়ী টাকা দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তাই ভারতীয় বোর্ড নাইকির সঙ্গে চুক্তি শেষ করার জন্য এক সমঝোতায় আসতে চলেছে। চুক্তি অনুযায়ী দশ বছরে প্রতি ম্যাচ পিছু ৮৮ লাখ রুপি নাইকির দেওয়ার কথা ছিল ভারতীয় বোর্ডকে। এছাড়া বছরে ৮ কোটি। কিন্তু কোভিড-১৯ এর ফলে বাজারে মন্দা দেখা দেওয়ায় চুক্তি অনুযায়ী অর্থ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তাই ভারতীয় বোর্ড-নাইকি মধুচন্দ্রিমা শেষ হওয়ার পথে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় বোর্ড তাদের ক্রিকেটারদের পোশাকে অন্য কোনও সংস্থার লোগো ব্যবহারের জন্য টেন্ডারের অর্থ ৩১ শতাংশ কমিয়ে দেবে বলে মনস্থির করেছে। ভারতীয় বোর্ড বুঝে গেছে আগেকার চুক্তি মতো কোনও বহুজাতিক সংস্থাই অর্থ লগ্নি করতে পারবে না বিরাট কোহলিদের পোশাকে। তাই চুক্তির বেস প্রাইস কমিয়ে দেওয়ার কথাই ভেবেছে সৌরভ গাঙ্গুলির বোর্ড।