এরই মধ্যে কেউ কেউ হয়তো সবে সেরে উঠেছেন করোনাভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯ থেকে। অনেকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন কিংবা বাসায়ই সুস্থ হয়েছেন, তবে খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ সামাজিক মেলামেশা সুযোগ থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন করোনামুক্ত হয়েছেন কি না। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার কিংবা ফলাফল নেগেটিভ আসার পরও পরবর্তী ১৪ দিন বাড়িতে আইসোলেশন বা কিছুটা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হয়ে থাকে।
পরিবারের অন্য সদস্যদেরও মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। এতে করে পরিবারের অন্যদের সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত হয়। তবে এই ১৪ দিনের পর সামাজিক মেলামেশায় আর বাধা থাকে না। অবসাদ-ক্লান্তি করোনামুক্ত হলেও অনেকের শরীর দুর্বল থাকে। আবার অবসাদও চলে আসতে পারে। কোনো কাজ করতে গেলে হাঁপিয়ে ওঠা স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে বিশ্রাম নিতে হবে বেশ কিছুদিন। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে একজন পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে ডায়েট চার্ট অনুসরণ করতে পারেন।
ব্যায়াম ও ফিজিওথেরাপি করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও ফুসফুসের ব্যায়াম করতে হবে কিছুদিন। সুস্থ হওয়ার পর কারো যদি অল্প পরিমাণে শ্বাসকষ্ট হয়, তবে ‘সেলফ প্রোনিং’ বা উপুড় হয়ে শুয়ে থাকার ব্যায়াম করতে হবে। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ধীরে ধীরে কেটে যাবে। শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী নিয়মিত ব্যায়ামও করতে পারেন। অন্যদিকে হাসপাতালে অনেক দিন শুয়ে থাকার ফলে কারো কারো পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি গ্রহণ করতে হবে।
ফলোআপ চিকিৎসা যারা দীর্ঘমেয়াদী রোগ যেমন হার্টের সমস্যা, কিডনি জটিলতা, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য জটিলতায় আক্রান্ত তাদের করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও ফলোআপ চিকিত্সা করাতে হবে। কিছু টেস্ট করিয়ে নিতে হবে এবং রিপোর্টগুলো চিকিত্সককে দেখিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। করোনামুক্ত হওয়ার পরও অনেকের কাশি থেকে যেতে পারে কিছুদিন। এ জন্য নিয়মিত আদা চা পান করতে পারেন। অনেক সময় ভাইরাস সংক্রমণের কারণে রক্তে জমাট বেঁধে রক্তনালি আটকে যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাস ফুসফুসে ক্ষত তৈরি করতে পারে। করোনামুক্ত হওয়ার পর ফুসফুসে ক্ষত বা প্রদাহ আছে কি না সেটি চেক আপ করে নিতে হবে।
এ জন্য করোনামুক্ত হওয়ার পর চেক আপ ও ফলোআপ চিকিত্সা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করোনাভাইরাসে একবার আক্রান্ত হলে আবার যে আক্রান্ত হবেন না এমন নিশ্চয়তা নেই। তাই দেহে হার্ড ইমিউনিটি যাতে তৈরি করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার, শাকসবজি খেতে হবে বেশি করে। একটু বয়স্ক হলে অনেকের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র অভাবজনিত লক্ষণ দেখা দেয়। তখন ভিটামিন ‘ডি’সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে পারেন। মানসিক স্বাস্থ্য করোনা সংক্রমিত ও সুস্থ হওয়া উভয় ব্যক্তির জন্যই মানসিক স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.