![](https://media.priyo.com/img/500x/https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/600x315x1xxxxx1/uploads/media/2020/07/04/d5232c1e64d90345c105723c1fba04e0-5eff8323ead25.jpg?jadewits_media_id=676777)
ড্রাইভার-হেলপারসহ ২০ ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি অবজ্ঞা করে পরিবহনে চলাচল করায় ড্রাইভার-হেলপারসহ ২০ ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (৩ জুলাই) নগরীর জিইসি মোড় ও ওয়াসা মোড়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক এই অভিযান পরিচালনা করেন।
উমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অভিযানকালে কয়েকটি বাসে দেখা যায় সুরক্ষা সামগ্রী হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই, ড্রাইভার-হেলপারসহ যাত্রীদের মাস্ক পরিহিত দেখা যায়নি। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুই সিটের জায়গার একজন থাকার কথা থাকলেও দুই থেকে তিন জনও বসে আছেন। বাসে যে হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলো আছে সেগুলোও জীবাণুনাশক নয়।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটি বাসে শুধু পানি দিয়ে স্যানিটাইজ করা হয়েছে যা যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। যাত্রীদের জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি পালনের কথা বললে অনেক ক্ষেত্রে ড্রাইভার ও হেলপার মিলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট দেখলে তারা ভালো মানুষ সেজে যান।’
স্বাস্থ্যবিধি পালনে এমন অসতর্ক থাকায় তথা স্যানিটাইজার না রাখা, নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, পানি দিয়ে স্যানিটাইজড করা ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে ১০ ড্রাইভারকে ৩০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
অন্যদিকে ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিতে অধিক যাত্রী থাকায় চালক ও যাত্রীসহ ১০ জনকে ১০০ টাকা করে মোট ১০০০ টাকা জরিমানা হয়। পরবর্তীতে জিইসি মোড়ে প্রায় ১০ জন সিএনজি ড্রাইভারকে একত্র করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং অন্যদের উৎসাহিত করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।