করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় কাজ হারাতে পারে ৩৪ কোটি মানুষ : আইএলও
করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ধাক্কা এখনো সামলে উঠতে পারেনি বিশ্ব। লকডাউনে স্থবির ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, যাতায়াত, সেবা। ঘরবন্দি বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। এরই মধ্যে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় পর্বের সংক্রমণ শুরুর পূর্বাভাস দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। তাদের দাবি দ্বিতীয় পর্বের ধাক্কা হবে আরো ভয়াবহ। বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ কাজ হারাবে। আইএলও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যদি এই বছরেই আরো একটা করোনা সংক্রমণের ধাক্কা আসে, তাহলে বিশ্বের ১১.৯ শতাংশ ওয়ার্কিং আওয়ার শেষ হয়ে যাবে।
অর্থাৎ কাজ হারাতে পারে ৩৪০ মিলিয়ন বা ৩৪ কোটি মানুষ। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের পঞ্চম এডিশনে বলা হয়েছে যে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বছরের বাকি দিনগুলোর ভবিষ্যৎ আনিশ্চিত। ২০২০ এর প্রথমার্ধেই যে ক্ষতি হয়েছে, তা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। যদি প্রথমার্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ধাপে কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পথে এগোনো যায়, তা সত্বেও ১১.৯ শতাংশ ওয়ার্কিং আওয়ার নষ্ট হবে। গত কয়েক সপ্তাহে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে যে ছবিটা উঠে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে যে এবছরের দ্বিতীয় ভাগে কোথায় কত কর্মসংস্থান হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তাতে দেখা যচ্ছে, আমেরিকায় ওয়ার্কিং টাইম নষ্ট হতে পারে ১৮.৩ শতাংশ, ইউরোপ ও সেন্ট্রাল এশিয়ায় ১৩.৯ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিকে ১৩.৫ শতাংশ, আরবে ১৩.২ শতাংশ ও আফ্রিকায় ১২.১ শতাংশ। সংস্থার সমীক্ষায় আরো উঠে এসেছে যে কিভাবে মহামারির জেরে প্রভাবিত হয়েছেন মহিলা কর্মীরা। ফলে আগামীদিনে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সত্যিই যদি করোনা দ্বিতীয় সংক্রমণের ধাক্কা আসে তাহলে বিশ্ব পরিস্থিতি কেমন হবে, তা ভাবতেও ভয় হয়। উন্নত দেশগুলোর অবস্থা যেখানে শোচনীয়, সেখানে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অবস্থা কেমন হবে সেটা সহজেই অনুমেয়। ফলে আগামী দিন ধনী-গরিব সবার জন্যই কঠিন হবে। সূত্র- আইএলও।