কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউনে কি আসলে কোন কাজ হয়েছে?

বিবিসি বাংলা (ইংল্যান্ড) প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২০, ১৭:২৬

ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারে তিন সপ্তাহের এলাকাভিত্তিক পরীক্ষামূলক লকডাউন শেষ হওয়ার পর আজ (বুধবার) থেকে ঐ এলাকার বাসিন্দারা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন।

তবে বাসিন্দাদের স্বাভাবিক চলাফেরায় বাধা না থাকলেও আগামী কিছুদিন বাইরে থেকে ঐ এলাকায় মানুষ প্রবেশ করার বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানান তিনি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ৯ই জুন থেকে পূর্ব রাজাবাজারের বাসিন্দাদের চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এলাকায় প্রবেশের একটি গেট বাদে বাকিগুলো বন্ধ ছিল।

শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ বিবেচনায় এলাকায় বসবাসরত মানুষকে এলাকা থেকে বের হতে অনুমতি দেয়া হয়।

এই সময়ে পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় আইইডিসিআরের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা এলাকার ভেতরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা, রোগীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং তাদের আইসোলেশন নিশ্চিত করার মত কাজ করেছেন।

পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউন তুলে নেয়া উপলক্ষে সেখানে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী স্থানীয় প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অভিবাদন জানিয়ে প্রকাম করা এক ভিডিও বার্তায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন 'সংখ্যাতাত্বিক দিক থেকে এখনও' পূর্ব রাজাবাজারকে রেড জোন থেকে ইয়েলো জোনের অন্তর্গত হিসেবে ঘোষণা করা যাবে না।

তাহলে পূর্ব রাজাবাজারকে 'রেড জোন' হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন করার সুফল আসলে কতটুকু পাওয়া গেলো?

তিন সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে
পূর্ব রাজাবাজারকে রেড জোন ঘোষণা করে পরীক্ষামূলক লকডাউন কার্যকর করার ঘোষণা দেয়া হয় জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে। আইইডিসিআর'এর হিসেব অনুযায়ী সেসময় পূর্ব রাজাবাজারে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৩৯ জন।

আর তিন সপ্তাহ পর লকডাউন শেষ হওয়ার আগে ২৭শে জুনের তথ্য অনুযায়ী পূর্ব রাজাবাজারে কোভিড-১৯ রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ জনে, অর্থাৎ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

তবে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া মানেই যে পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউন ব্যর্থ হয়েছে, সেরকম নয় বলে মন্তব্য করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ জানান, 'জোনিং' করে কোনো এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রধান উপাদানগুলো হলে 'আইসোলেশন', 'ট্রেসিং', 'কোয়ারেন্টিন' ও সবশেষে 'চলাফেরা নিয়ন্ত্রন' করা। আর সেই হিসেবে চিন্তা করলে পূর্ব রাজাবাজারকে 'রেড জোনে'র অন্তর্ভূক্ত করে বাসিন্দাদের আইসোলেশনে নেয়া ও তাদের কোয়ারেন্টিন করা যথেষ্ট সফল পদক্ষেপ ছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও