লঞ্চ দুর্ঘটনা : মূল মাস্টার না, শিক্ষানবিশ চালাচ্ছিলেন ময়ূর
বুড়িগঙ্গায় ‘এমএল মনিং বার্ড’কে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়ার সময় ঘাতক লঞ্চ ‘ময়ূর-২’ মূল মাস্টার নয় একজন শিক্ষানবিশ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। লঞ্চের কোনো ত্রুটি নয় মাস্টারের ভুলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গতকাল সোমবার (২৯ জুন) সকালে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটের কাছে শ্যামবাজারের দিকে ডুবে যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩২ জনের লাশ ও ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধার কার্যক্রম এখনও চলছে।
ADVERTISEMENT
ময়ূর-২ লঞ্চটি জব্দ করা হলেও মাস্টার পলাতক রয়েছেন।
নৌপরিবহন অধিদফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মো. মনজুরুল কবীর মঙ্গলবার সকালে জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি গতকাল দুর্ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। সিসি টিভির একটা ফুটেজও দেখেছি। যখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অ্যানালাইসিস করার চেষ্টা করি? এটি কীভাবে ঘটল? প্রাথমিকভাবে দেখতে চাইলাম, ডুবে যাওয়া লঞ্চের সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন ঠিক ছিল কিনা। এ দিক দিয়ে আমরা কোন সমস্যা পাইনি। সব ঠিক ছিল।’
তিনি বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনার পেছনে অসংখ্য কারণ থাকতে পারে। বৈরি আবহাওয়া হতে পারে, নির্মাণ ত্রুটি হতে পারে, ইকুইপমেন্ট ফেইলিওর হতে পারে। তদন্তে দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট বিষয়টি উঠে আসে।’
মনজুরুল কবীর বলেন, গতকালের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, এই দুর্ঘটনায় উপরের কোনো কারণই কাজ করেনি। আপত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে ওখানে (ময়ূর-২ লঞ্চ) মাস্টার ও অন্যান্য যারা কাজ করেছেন তাদের ‘হিউম্যান ফেইলিওর’। দুর্ঘটনার অবস্থায় ‘সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস’ ওই পার্টিকুলার পরিস্থিতিতে সে তার দায়িত্বটা হ্যান্ডেল করতে পারেনি, আমার কাছে এটা মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় ময়ূরের মূল মাস্টার নয় একজন শিক্ষানবিশ মাস্টার চালাচ্ছিলেন বলে আমরা শুনেছি। আমাদের পক্ষে এই মুহূর্তে এটি সুনির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল, তবে তদন্তে হয়তো পুরো বিষয়টি উঠে আসবে।’