মুছে ফেলা হয়েছে সুশান্তের একাধিক টুইট? রহস্যমৃত্যুতে নতুন মোড়
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের রহস্যমৃত্যুতে নতুন মোড়। এবার তাদের এক পারিবারিক বন্ধু মুম্বাই পুলিশের কাছে আবেদন করলেন, যাতে সুশান্তের আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে জেরা করা হয়। কারণ ওই পারিবারিক বন্ধুর অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ বন্ধুই সুশান্তের ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার অ্যাকাউন্ট নিয়ে ছেলেখেলা করছেন! ইনস্টাগ্রামে সুশান্ত শেষ পোস্ট করেছিলেন ৩ জুন। মায়ের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে আবেগঘন বার্তায় পোস্ট লিখেছিলেন। সেই পোস্টের নীচে সম্প্রতি সংগ্রাম সিংহ লিখেছেন, এই মৃত্যুরহস্যের সিবিআই তদন্ত করা হোক।
সুশান্তের বন্ধু সংগ্রামের বক্তব্য, তার এই পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়। বিকাশ বর্মাও এই মর্মে অভিযোগ করেন। অভিযোগ, এখানেই শেষ নয়। সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে চারজনকে ‘আনফলো’করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ মৃত্যুর পরেও সুশান্তের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল নিয়ে কেউ বা কারা যা ইচ্ছে তাই করে চলেছেন। এই মর্মে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান সুশান্ত সিংহ রাজপুতের পারিবারিক বন্ধু নীলোৎপল।
নীলোৎপলের অভিযোগের তীর সুশান্তের আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু সন্দীপের দিকে। সুশান্ত যে সময়ে তারকা হননি, সেই সময় থেকে তার খুব কাছের বন্ধু সন্দীপ সিংহ। সন্দীপ প্রথমে সাংবাদিক ছিলেন। তারপর প্রোডিউসার হিসেবে যোগ দেন। কাজ করতেন সঞ্জয় লীলা বানসালীর সঙ্গে।
অন্যদিকে, সুশান্ত নিজের প্রতিভার জোরে হয়ে ওঠেন সুপারস্টার। তবে তাদের বন্ধুত্ব রয়ে যায় আগের মতোই অমলিন। ‘বন্দে ভারতম’ বলে সন্দীপ একটি ছবি করবেন ঠিক করেছিলেন। সেখানে সুশান্তের অভিনয় করার কথাও ছিল।
কয়েক দিন আগে সুশান্ত-অঙ্কিতাকে নিয়ে পোস্ট করেছিলেন সন্দীপ। বলেছিলেন, অঙ্কিতাই ছিলেন সুশান্তের বেস্ট ফ্রেন্ড। শুধু প্রেমিকা নয়। তিনি ছিলেন সুশান্তের মা-ও। সন্দীপের ওপর ইন্ডাস্ট্রির কোনও প্রভাবশালী মহল চাপ সৃষ্টি করছে বলে ধারণা নীলোৎপলের। সন্দীপ বলেছেন এই ঘটনায় স্বজনপোষণ জড়িত না। একতা কাপুরের নামও তিনি সুশান্তের মৃত্যুরহস্যে তুলতে নিষেধ করছেন। নীলোৎপলের প্রশ্ন, যেখানে পুলিশের তদন্ত শেষ হয়নি, সেখানে এখনই এই ধরনের কথা কী করে সন্দীপ বলতে পারেন?
সুশান্তের মৃত্যুসংবাদ জানাজানি হওয়ার পরে সন্দীপই সবার আগে তার বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। তার সই করার পরই ময়নাতদন্ত হওয়া সুশান্তের মরদেহ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় স্বজনদের।
ফলে প্রথম থেকেই এই ঘটনায় সন্দীপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।