স্বাভাবিক সময়ে ভার্চুয়াল আদালত নয়
স্বাভাবিক অবস্থায় নয়, বিশেষ প্রয়োজনে ভার্চুয়াল আদালত চালু হবে। সংসদে উত্থাপিত ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার বিল, ২০২০’-এ এমন সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি সোমবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে জারি করা অধ্যাদেশটি আইন হিসেবে জারি করতে গত ২৩ জুন সংসদে বিল তোলা হয়।
পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ২৪ জুন সংসদীয় কমিটি বিলটি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। রবিবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পর বিলটি পাসের সুপারিশ করা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়েছি। তারা সকলেই লিখিত পরামর্শ দিয়েছেন। এজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যতদূর সম্ভব আমরা তাদের পরামর্শ বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আইনটিতে কমিটি কোন ধরনের সুপারিশ করেছে জানতে চাইলে সভাপতি বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে এই আইনটি প্রয়োগ করার বিষয়ে সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছে। ধরুন কোনও মহামারি হলো, জরুরি প্রয়োজন দেখা দিলো, নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠলো, সেরকম পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট বিভাগ এ আইন প্রয়োগ করবে।
কমিটির সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারও একই ধরনের মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা সামান্য কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে আইনটি পাসের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 'কেবলমাত্র বিশেষ সময়ে আইনটি প্রয়োগ হবে, স্বাভাবিক সময়ের প্রয়োজন হবে না' —সুপারিশ কী এমন জানতে চাইলে কমিটির সদস্য শহীদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি একজাক্টলি শব্দটি বলছি না। তবে বিষয়টি প্রায় ওই রকমই। আইনের বিষয় ড্রাফটিংয়ে শব্দ এদিক-ওদিক হতে পারে।
কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, প্রস্তাবিত আইনে ভার্চুয়াল বিচারের কথা বলা হলেও মামলা দায়েরের বিষয়ে কিছু বলা নেই। এজন্য অনলাইনে মামলা দায়ের করা যাবে আমরা এ বিধানটি সুপারিশে যুক্ত করেছি।