মাত্র ৫শ টাকায় করোনা টেস্ট কিট?
করোনা শনাক্তকরণ কিট পশ্চিমবঙ্গে মিলবে মাত্র ৫শ টাকায় এবং তা তৈরি করছে সেখানকার বাঙালি বিজ্ঞানীরা- এমনই খবর আসছে ওপার বাংলার গণমাধ্যম হয়ে। সব কিছু ঠিক থাকলে, আগামী সপ্তাহ থেকেই কিট পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার করোনা টেস্টিং-এর এই কিট ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের ছাড়পত্র পেয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনস্থ এই সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়া মানে এই কিট এর উৎপাদন শুরু করতে পারবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই বেসরকারি বায়োটেক সংস্থাটি। তবে বাধা এখনো আছে। সেন্ট্রাল ড্রাগস অনুমোদন দেয়ায় এবার এই কিটের উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করবে এই বায়োটেক সংস্থা। তবে উৎপাদন শুরু করলেও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি অনুমোদন ছাড়া এই কিট বাজারে বিক্রি করা যাবে না। আর তাই গতকাল বৃহস্পতিবারই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি কাছে এই কিট বাজারে বিক্রির জন্য আবেদন জানানোর কথা ছিল বায়োটেক সংস্থার।
ওই বায়োটেক সংস্থার কর্মকর্তা রাজা মজুমদার জানিয়েছেন, "মঙ্গলবারই আমরা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনস্থ সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশনের ছাড়পত্র পেয়েছি। এর পরবর্তী ধাপে আমরা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির কাছে আবেদন জানাবো। সেখান থেকে ছাড়পত্র এলেই এই কিট বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হবে।"
সে ক্ষেত্রে এই কিট বাজারে এলে করোনা টেস্টিংয়ের দাম অনেকটাই সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। খুব অল্প সময় এবং খরচাও কম। এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস নির্ণয়ের জন্য এমনই কিট তৈরি করে সাড়া জাগিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি বেসরকারি বায়োটেক সংস্থা। সেই কিটকে অনুমোদন দেয় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রযুক্তি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। মূলত rt-pcr এ করোনা পরীক্ষা করার জন্য যে কিটের প্রয়োজন হয়, সেই কিটই তৈরি করেছে এই বায়োটেক সংস্থা। মূলত করোনা টেস্টিং-এর জন্য নমুনা সংগ্রহের পর তা থেকে 'আরএনএ' বার করতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে এই বায়োটেক সংস্থার আরএনএ এক্সট্রাকশন কিট -এর পাশাপাশি rt-pcr নমুনা পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত উপাদান তৈরি অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আর সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই বায়োটেক সংস্থা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই কিটটি বানিয়েছে।