বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বয়স্ক, স্বামী নিগৃহীতা মহিলা (বিধবা) ও শারীরিক সমস্যা প্রতিবন্ধীদের ভাতা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ডাটাবেইজ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ১০ টাকার বিনিময়ে সকল ভাতাভোগী নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ভাতা সুবিধা ভোগ করার কথা থাকলেও প্রতিটি ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যারা দাবিকৃত টাকা দিতে পারছেন না তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন টিটুর বিরুদ্ধে।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের মোট ১ হাজার ৬ জন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা কার্ডের চূড়ান্ত তালিকা করা হয়েছে। লোক বেশি হওয়ায় ওই সুবিধাভোগীদের টাকা প্রদানের জন্য একটি করে ব্যাংক হিসাব খুলে দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যানের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যার বেশির ভাগ একাউন্ড সোনালী ব্যাংকে খোলা হচ্ছে। এছাড়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে কৃষি ব্যাংকেও একাউন্ড খোলা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জুন মঙ্গলবার থেকে চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজার জনতা বাজার সড়কের ড্রিম লাইন কাউন্টারে ভেতরে ইউনিয়নের বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ডের চূড়ান্ত তালিকার সুবিধাভোগীদের ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়ার কাজ করছেন চেয়ারম্যানের সহযোগী সাহব উদ্দিন। নিজে বসে ব্যাংকের ফরম পূরণ করে দিয়ে জন প্রতি ৫০০ টাকা করে নিচ্ছেন। যদিও চেয়ারম্যান বলেছেন, প্রতি ফরমে ২০০ টাকা করে নেওয়ার জন্য। যারা কম দিচ্ছেন, তাদের অশালীন ভাষায় গালমন্দ এবং যারা দিতে পারছেন না- তাদের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছে। টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে হিসাব খুলতে আসা কয়েকজন জিজ্ঞেস করলে বিভিন্ন খরচ আছে বলে জানান সাহাব উদ্দিন। দিন শেষে এই টাকা চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.