![](https://media.priyo.com/img/500x/https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/600x315x1xxxxx1/uploads/media/2020/06/24/3dc2540c89dcaea0fddc3d7da6d235eb-5ef38118b8c1b.jpg?jadewits_media_id=675314)
কুড়িগ্রামেও ট্রিগার টিপে দিলো করোনা
গ্রিন জোনে থাকা কুড়িগ্রামেও শেষ পর্যন্ত ট্রিগার টিপে দিলো করোনা। এবার এই জেলাতেও কমিউনিটি সংক্রমণের শিকার হয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম খালিদ হাবিব মুকুল (৫০)। ঘরেই থাকতেন মুকুল। বাজার সদাইসহ টুকিটাকি কাজে মাঝেমধ্যে বাইরে বের হতেন। তাতেই সংক্রমিত হয়ে ১৭ জুন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই আজ বুধবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের সবুজপাড়া গ্রামে।
চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খালিদ মাহমুদ মুকুল উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে বেসরকারি সংস্থা ছিন্নমুকুল বাংলাদেশের মাইক্রোক্রেডিট সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এটিই প্রথম মৃত্যু বলে জানিয়েছে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
চিলমারী স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে খালিদ হাবিব মুকুল গত ১৬ জুন নমুনা দেন। একইসঙ্গে তার পরিবারের আরও তিন সদস্যের নমুনা নেওয়া হয়। ১৭ জুন তার অবস্থার অবনতি হলে তিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। ১৯ জুন তার নমুনা টেস্টের ফল পজিটিভ আসে। তখন থেকে তিনি রংপুরেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবর আসে।
চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, ‘তার পরিবার সূত্রে জানতে পেরেছি করোনা প্রাদুর্ভাবে খালিদ হাবিব মুকুল সবসময় বাড়িতে অবস্থান করতেন। এরপরও তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।’
তিনি কমিউনিটি সংক্রমণের শিকার হয়েছেন জানিয়ে ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক প্রয়োজনে বাজার কিংবা দোকানে যাতায়াতকালে তিনি কমিউনিটি সংক্রমণের শিকার হয়ে থাকতে পারেন। তবে তার পরিবারের অপর তিন সদস্য করোনা নেগেটিভ। এরপরও তার পরিবার কিংবা আশপাশের কারও উপসর্গ দেখা দিলে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।'