কার্যকর হওয়া ওয়াসার পানির বর্ধিত দাম আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত দাম আদায় থেকে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে বিরত থাকতে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে গত ১ এপ্রিল থেকে পানির দাম প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর সূত্র ধরে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইনের কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ গত ১৫ জুন আদালতে একটি রিট দাখিল করেন।
এর ওপর গত ১৭ জুন শুনানি নিয়ে আদালত ২২ জুন (আজ) পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে আজ আদেশ দেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী অনীক আর হক ও আবেদনকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ শুনানি করেন।
ওয়াসার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম, যিনি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলও। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে পরে তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গত ১ এপ্রিল হতে প্রায় ২৫ শতাংশ হারে পানির বর্ধিত দাম আদায় শুরু হয়। এই বর্ধিত দাম আদায় থেকে বিরত থাকতে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে এখন থেকে পানির ২৫ শতাংশ বর্ধিত দাম আদায় করা যাবে না। তবে ইতিপূর্বে নির্ধারিত দাম অনুসারে গ্রাহকদের কাছ থেকে পানির বিল আদায় করা যাবে।
পানির দাম বাড়ানো সংক্রান্ত ওয়াসা কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইনের ২২ (১) ও ২২ (৩) ধারার বলে পানির প্রকৃত উৎপাদন ও বিতরণ ব্যয়ের সঙ্গে বিক্রয় মূলের সামঞ্জস্য বিধান এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধিজনিত খরচ সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকারের অনুমোদনক্রমে প্রতি এক হাজার লিটার পানির অভিকর (দাম) আবাসিকে ১১ টাকা ৫৭ পয়সার স্থলে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিকে ৩৭ টাকা ৪ পয়সার স্থলে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হলো। সংশোধিত অভিকর (দাম) ওই আইনের ২৩ ধারা অনুসারে ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.