![](https://media.priyo.com/img/500x/https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/600x315x1xxxxx1/uploads/media/2020/06/22/672e999ded644ccefc17c90c351fe107-5ef03b9a03617.jpg?jadewits_media_id=674895)
রেড জোনে একমাত্র ভরসা বাঁশের ব্যারিকেড!
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করে ১৪ জুন থেকে লকডাউন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেড জোনে পড়া পাড়া-মহল্লার গলির মুখে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে সেখানে একজন আনসার সদস্য মোতায়েন করেছে। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হচ্ছে না। লকডাউন করা এলাকায় রিকশা, গাড়ি ও জনসাধারণের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
লকডাউন করা এলাকার বাসিন্দা এনায়তে খান, মোরর্শেদ এবং আবু সাঈদ জানান, ১৪ জুন থেকে শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাইক পাড়া, কালাইশ্রী পাড়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া, মৌলভীপাড়া এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়াকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করতে বলা হয়। পরে প্রতিটি পাড়া-মহল্লার গলির মুখে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে একজন আনসার মোতায়েন করা হয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আনসার সদস্যরা অলস সময় পার করছেন। এলাকায় লোকজন, রিকশা, গাড়ি স্বাভাবিক নিয়মেই চলাচল করছে।
মধ্যপাড়ার গালিব ও পূর্ব পাইকপাড়ার ঈশিতা রানী জানান, এমন লক ডাউন হয়তো আর দেখবনো না। রাস্তার মোড়ে বাঁশ টানিয়ে দিয়ে গেছে প্রশাসন। আর ভেতর মানুষ আড্ডা দিচ্ছে। এ ধরনের লকডাউনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।৫ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বরত আনসার সদস্য মুহাম্মদ মুছা জানান, তিনি সবাইকে নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ মানুষই কথা শুনছেন না।