কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তরুণদের অংশগ্রহণে দেশব্যাপী ডিজিটাল ম্যাপিং সম্পন্ন

ঢাকা টাইমস প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০, ০৮:১৮

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির শুরুর দিকে দেশব্যাপী ডিজিটাল ম্যাপিং এর লক্ষ্যে পরিচালিত ‘বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ’ নামক ক্যাম্পেইনে তরুণদের অভাবনীয় অংশগ্রহণে এক লাখ ১০ হাজার লোকেশন গুগল ম্যাপ ও ওপেন স্ট্রিট ম্যাপে যুক্ত করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত এটুআই এবং গুগল-এর সমন্বয়ে বেসরকারি টেলিকম অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের উদ্যোগে আয়োজিত এই ক্যাম্পেইন ২১ জুন তারিখ এক অনলাইনে সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এমপি।

‘বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ’ উদ্যোগের মাধ্যমে সারা দেশের তরুণরা ঘরে বসে গুগল ম্যাপ এবং ওপেন স্ট্রিট ম্যাপে তাদের আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর পিনপয়েন্ট করার সুযোগ পেয়েছে। বর্তমান সংকটকালীন পরিস্থিতিতে প্রতিটি দেশের ভৌগলিক ম্যাপিং হালনাগাদ করা খুবই জরুরি। কারণ হাসপাতাল, স্থানীয় পণ্যের বাজার, রিচার্জ পয়েন্ট, নগদ/বিকাশ পয়েন্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ম্যাপে পয়েন্ট করা জরুরি। ঢাকার বাইরে যারা জরুরি সেবা প্রদানের সাথে জড়িত তাদের জন্য এটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বে শহর অঞ্চলের বাইরের গুগল ম্যাপে পয়েন্ট করা ছিল না বলে নাগরিকদের বিভিন্ন স্থান সনাক্ত করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল। ডিজিটাল ম্যাপ হালনাগাদ করার কারণে এ জাতীয় সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে।

অনলাইনে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এমপি বলেন, “করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের উপস্থাপিত ৫টি কন্টিনিউটি পরিকল্পনা খুব দ্রুততম সময়ে অনুমোদন করে দেন। জননেত্রীর এই দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরে ঘরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সকল সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ একত্রে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।”

প্রতিমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ইন্টারনেট প্যাকেজ সুবিধা চালু এবং বাংলাদেশের মেধাবী তরুণরা যেন অগমেন্টেড রিয়েলিটি সলিউশন ডেভলপসহ গুগল এর প্রোডাক্ট উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে সেই সুযোগ প্রদানের জন্য গুগলের প্রতি আহ্বান জানান। গুগল ম্যাপে ইতোমধ্যেই বাংলা ভাষার সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শহর-উপশহরের পর এবার এদেশের তরুণরাই গ্রামের স্থাপনা ও রাস্তাকে গুগল ম্যাপে সংযুক্ত করেছে। আমি গ্রামীণফোন, গুগল, স্কাউটস এবং এটুআইকে ধন্যবাদ জানাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং এই ডিজিটাল ম্যাপিংকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী সকল প্রতিষ্ঠানকে সেবা নিয়ে নাগরিকদের পাশে থাকার আহবান জানাই।”

তিনি আরো বলেন, এই ম্যাপিং কার্যক্রম ভবিষ্যতে ডিজিটাল সকল কার্যক্রমে শহর এবং গ্রামের ব্যবধান কমিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনে সহায়তা করবে। প্রতিমন্ত্রী ম্যাপিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সকল তরুণ ম্যাপারদের বিশেষ করে ধন্যবাদ জানান। এখন পর্যন্ত এ কার্যক্রমে প্রায় ৩১,০০০ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এক লাখ ১০ হাজার ম্যাপ পোস্ট পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ফেসবুকে ৮.৫ মিলিয়নের বেশি রিচ এবং ৯৬.৭ মিলিয়নের বেশি ইমপ্রেশন পাওয়া গেছে। তরুণরা তাদের বাড়িতে অবস্থান করে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনেই এই পুরো ম্যাপিং প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। উক্ত ম্যাপিং কার্যক্রমে অবদানকারী শীর্ষ ১০০ জন তরুণকে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে ২ মাসের জন্য ১০ জিবি (৫জিবি ৩০ দিন+ ৫জিবি ৩০ দিন) ইন্টারনেট প্রদান করা হয়েছে। অংশগ্রহণে এক

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও