এই দিনটি বাবার জন্য

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২০, ১৫:৪৭

বাবা শব্দটি অনেক কঠিন কাজকে সহজ করে তোলে। একটু অনুপ্রেরণা ভাসিয়ে দিতে পারে রাজ্যের বিষণ্নতাকে। বাবা তো সেই জন, যার হাতে হাত রেখে হাঁটি হাঁটি পায়ে আমরা এগিয়ে যাই নতুন পৃথিবীর সন্ধানে; যার কাঁধে চড়ে আমরা প্রথম জানতে পারি, পৃথিবী আসলে গোলাকার! বাবা-সন্তানের সম্পর্কের জাল এমনই বিস্তৃত যে, কোনো গন্ডিতেই একে বেঁধে রাখা যায় না। মায়া, মমতা, স্নেহ, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার মিশেল বাবা আর সন্তানের সম্পর্ক।

সন্তানের সব দায়িত্ব নিঃস্বার্থভাবে কাঁধে বয়ে নেয়া- সৃষ্টির শুরু থেকে এইতো বাবার রূপ। বাবা শব্দটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে নির্ভরতা। রয়েছে এক বিশালতার প্রতীক। ইংরেজীতে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে ‘শতজন স্কুল-শিক্ষকের চেয়ে একজন বাবার ভূমিকা বেশি।’ যার ফলে সন্তানের পথ চলার অনুপ্রেরণায় থাকে বাবা। সব সন্তানের কাছেই তার বাবা সেরা বাবা।

পারিবারিক কাঠামোতে বেড়ে ওঠার সময় আমরা অনেকেই ভেবে নেই যে শুধু মা-বাবাই সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করবেন এবং সন্তানের ভালো-মন্দ দেখভাল করবেন। কিন্তু সন্তান যখন একটু বড় হয়ে পড়াশোনা বা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন বাবা-মাও প্রত্যাশা করেন যে সন্তানরাও একইভাবে তাদের খোঁজ-খবর নেবে। তাই কাজের ফাঁকে একটু সময় বের করে বাবা-মার খোঁজখবর নেবার চেষ্টা করুন। আমাদের জীবন বাস্তবতায় বাবারা সবসময় থাকেন একটু বহির্মুখী।

মা যেমন একই সঙ্গে হতে পারেন চাকরিজীবী তেমনি হতে পারেন গৃহিণীও। কিন্তু বাবাকে সব ক্ষেত্রেই পেশা আর জীবিকার কারণে বেশিরভাগ সময়ই বাইরে কাটাতে হয়। ফলে বাবার সঙ্গে আমাদের সময় কাটানোর সুযোগটা অনেক কমই হয়ে ওঠে। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের শাসনের ভারটিও বাবার ওপরই বর্তায়। ফলে কারো কারো হয়তো বাবার প্রতি একটা চাপা অভিমান কাজ করে। কিন্তু এই একটি দিনে অন্তত সেই অভিমানগুলো ভুলে গিয়ে যেন আমরা বলতে পারি বাবা তোমায় অনেক ভালোবাসি।

একসঙ্গে থাকতে গিয়ে নিজের অজান্তে প্রায়ই আমরা বাবাকে হয়তো অনেক দুঃখ দিয়ে থাকি। আবার সে জন্য ক্ষমাও চাওয়া হয়ে ওঠে না অনেক সময়। তাই বাবার প্রতি ভালোবাসার অনুভূতিগুলো প্রকাশের জন্য এ দিনটিকে আমরা স্পেশালভাবে বেছে নিতে পারি। বাবার প্রতি কর্তব্যবোধ থেকে সন্তানের মনে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার অনুভূতিটা জাগানোই আসলে বাবা দিবসের উদ্দেশ্য। বছরের প্রতিটি দিনই হোক বাবা দিবস, প্রতিটি পদক্ষেপেই আসলে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কাজ করা উচিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও