চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা নিয়ে তামাশা, পজিটিভদের হচ্ছে না দ্বিতীয় পরীক্ষাও
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গের রোগীদের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে অনেকটা তামাশার সৃষ্টি হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের ১৪ দিন পরও পাওয়া যাচ্ছে না পরীক্ষার ফল। ৬শ থেকে ৭শ নমুনা প্রতিদিনই পরীক্ষা ছাড়াই ফেলে রাখা হচ্ছে। অনেক নমুনা হারিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি জট কমানোর নামে পজিটিভ রোগীদের দ্বিতীয় পরীক্ষাও বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় রুয়েল এস্ত্রেলা কাতান নামে ফিলিপাইনের এক নাগরিক। উপসর্গ থাকায় গত তেসরা জুন নমুনা সংগ্রহ করা হলেও ১৬ দিনেও পাওয়া যায়নি তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল। ফিলিপাইনের এই নাগরিকের মতো শত শত নগরবাসীকে প্রতিদিন হাসপাতালগুলোর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে করোনা পরীক্ষার জন্য।
এ প্রসঙ্গে চীফ অফ স্টাফ, ফিলিপাইন কনস্যুলেট অফিসের শেখ হাবিবুর রহমান বলেন, উনি গত ৩ তারিখ নমুনা দিয়েছিলেন এবং ৪ তারিখ থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এখন নাগাদ উনার নমুনার ফলাফল পাওয়া যায়নি। বলা হচ্ছে কিছু নমুনা হারিয়ে গেছে, কিছু ঢাকা পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রামের নমুনা জট কমাতে গত সপ্তাহেই ৩ হাজার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিলো ঢাকায়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে সেখান থেকে বেশ কিছু নমুনা হারিয়ে গেছে।
চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার এই চিত্রকে তামাশা আখ্যায়িত করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষার হার বাড়ানোর কথা বলছেন সুশীল সমাজ। এক্ষেত্রে আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ চিকিৎসক নেতাদের। এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট আকতার কবীর চৌধুরী বলেন, ৮০ লাখ মানুষের শহরে ঠিকমত নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে না। নমুনা হারিয়ে যাচ্ছে। এটা তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। নিয়ম অনুযায়ী পজিটিভ হওয়া রোগীদের ১৪ দিন পর দু'দফায় নমুনা পরীক্ষা করার কথা। কিন্তু বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে দিনের পর দিন ঘুরেও সেসব রোগী নমুনা পরীক্ষা করাতে পারছেন না। আর নেগেটিভ রিপোর্ট না পাওয়ায় কাজেও যোগ দিতে পারছেন না।
নমুনা জট সৃষ্টি হয়েছে স্বীকার করে সিভিল সার্জন জানান ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, এটা কমাতে করোনা পজেটিভ হওয়া রোগীদের দ্বিতীয় পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে।