You have reached your daily news limit

Please log in to continue


‘এবার ফিরে যেতে চাই’

উখিয়ার কুতুপালং টিভি টাওয়ার সংলগ্ন ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ ইদ্রিস। বলেন, ‘২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রাণ রক্ষায় বাংলাদেশে এসেছিলাম। এবার ফিরে যেতে চাই। সহযোগিতা যতই পাই না কেন শরণার্থী জীবন ভালো লাগে না। গরমে রোহিঙ্গা বস্তিতে থাকলেও মনটা রাখাইনে পড়ে থাকে। আমরা স্বপ্ন দেখি রাখাইনে ফিরে যাওয়ার। কিন্তু, দিন যতই যাচ্ছে ততই অনিশ্চিয়তায় পড়ে যাচ্ছি আমরা।’ ইদ্রিসের মতো ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা নিজ দেশে ফিরতে চান। প্রায় তিন বছর হতে চললেও এখনও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। দিন যতই যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের হতাশা ততই বাড়ছে। আজ শনিবার (২০ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস। প্রতিবছর দিবসটি আসে। কিন্তু, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরা অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়ে গেছে। তারা জানেন না নিজের দেশে কবে ফিরতে পারবেন। রোহিঙ্গারা বলছেন, মিয়ানমার সরকারের দমন-নিপীড়নের শিকার হয়ে বাপ-দাদা ভিটেমাটি ছেড়ে শরণার্থী হয়েছি। বাংলাদেশে সবদিক দিয়ে সুখে থাকলেও মনটা পড়ে আছে রাখাইনে। আন্তর্জাতিক মহলের নানা তৎপরতা সত্ত্বেও প্রত্যাবাসন নিশ্চিত না হওয়ায় এ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে রোহিঙ্গাদের মাঝে। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দাতা দেশগুলো ব্যস্ত থাকায় ঘোর অন্ধকারে রয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। চাপা পড়ে গেছে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম। রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা মাস্টার আব্দুর রহিম বলেন, ‘জানি না আমাদের দেশ মিয়ানমারে কবে ফিরতে পারবো। এমনিতেই মিয়ানমারের নানা টালবাহানা, বিশ্ব সম্প্রদায়ের সদিচ্ছার অভাব। তারওপর করোনাভাইরাস ঘোর অন্ধকারের দিকে নিয়ে আসলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। এ কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আদৌ হবে কিনা জানে না কেউ।’ একই কথা বলছেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মাহমুদুল করিম, বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিনারা বেগম, লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দ করিম, মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দিল মোহাম্মদ, বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লালু ও ফয়েজ উল্লাহ মাঝিসহ অনেকেই। তারা বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রত্যাবাসনের জন্য। কিন্তু মিয়ানমারের ছল-চাতুরির ফাঁদে পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এদিকে, রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণ, নিরাপত্তা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়া ঠেকানো নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের আর্থিক সহায়তাও কমে আসছে। ফলে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সংকট আরও গভীরতর হচ্ছে। দিন যতই গড়াচ্ছে বিশ্বের বিশাল এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে অস্থিরতা। বাড়ছে খুন-খারাবি থেকে শুরু করে নানা অপরাধ। স্থানীয় লোকজনও ধৈর্য্য হারাচ্ছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন