কেমন আছেন করোনা রোগীর চিকিৎসকেরা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০, ১৭:৪৮

ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে করোনা ইউনিটে অনেক চিকিৎসকের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন তন্ময় দে, আজিজুল হক, শরীয়তুল্লাহ খান ও শুভ্র সৈকত বিশ্বাস। তাঁদের মধ্যে দুজনই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক তন্ময় দে নিজেসহ পরিবারের ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড-১৯–এ। সুস্থ হয়ে আবারও শুরু করেছেন দায়িত্ব পালন। তন্ময় প্রথমেই বলছিলেন, রোগীদের তীব্র শ্বাসকষ্টের অসহায় অবস্থার কথা। বললেন মেডিকেল সায়েন্সে একটা কথা আছে ‘There is no hunger in the world that can be compared with the Severity of air hunger’ আর আমরা প্রতিনিয়ত সেই কষ্টটাই দেখছি রোগীদের। এই দৃশ্য যখন আপনজনেরা দেখছেন, তাঁদের মানসিক অবস্থাটা ভাবুন।

পরিবারের অনেকেই সংক্রমিত হওয়ায় রয়েছে একপ্রকার মানসিক চাপ। নিজের অসুস্থতার সময় তন্ময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঢাকায় ছিলেন। ঝালকাঠিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক স্ত্রীকে সতর্কতাবশত আসতে দেননি ঢাকায়। প্রতিদিন হাসপাতালের ডিউটি থেকে কোয়ারেন্টিন জীবনে প্রবেশ করে নিজেও অনেকটা সময় থাকেন রোগীদের সেই অসহায় অবস্থার স্মৃতির ভেতর। বারবার করে সবাইকে বলছেন, পথে বের হলে অনেককেই দেখি মাস্কটা তাবিজের মতো ঝুলিয়ে রেখেছেন কিন্তু ঠিক করে নাক–মুখ ঢাকা নেই। সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন করোনা বিজয়ী এ চিকিৎসক। তন্ময় দের ৯২ বছর বয়স্ক নানি এখন হাসপাতালে লড়াই করছেন করোনাভাইরাসের সঙ্গে। গত ১৬ মে করোনা নেগেটিভ আসার পর ২৩ মে থেকে তন্ময় দে করোনা ইউনিটে আবারও নিয়মিত দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।

মেডিসিন বিভাগের আজিজুল হক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জুন। এর এক দিন আগে তিনি বলেছিলেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। কখনো এমন ঘটেছে যে রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পথে রোগী মারা গেছেন। ইমার্জেন্সির দায়িত্বে এমন অনেক রোগীর ডেথ সার্টিফিকেট লিখতে হয়েছে তাঁকে। এ পরিস্থিতিতে রোগীর সঙ্গের আত্মীয়রা অনেক সময় ভুল বোঝেন চিকিৎসককে।

আজিজুল হক জানান, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা হয়। দেখা যায় স্বাভাবিক সুস্থ শরীরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর রোগটা ধরা পড়ছে অনেক দেরিতে। তাঁদের পরিস্থিতির অবনতি হয় দ্রুত। অনেক জায়গায় রোগীরা বলেন যে তাঁরা ঘুরে ঘুরেও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত আসছে ভর্তি হতে না পেরে কিন্তু সংক্রমণযোগ্য রোগীর ক্ষেত্রে যদি হাসপাতালে বেড না থাকে, সে ক্ষেত্রে করণীয় কী?

অসংক্রমিত রোগে যেমন সিট না থাকলে মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া যায়, করোনায় তা অসম্ভব। করোনার অধিকাংশ রোগী আসেন শ্বাসকষ্ট নিয়ে। যেহেতু বেড ও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তাই সিট হিসেবেই ভর্তি হন এবং চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে আমি বলতে পারি যে ঢাকা মেডিকেলে যথেষ্ট উন্নত সেবা দেওয়া হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও