প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে কাটছাঁট সিলেবাসে মূল্যায়নের চিন্তা
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে টানা প্রায় ছয় মাস অনির্ধারিত বন্ধে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এ বছর আর ক্লাস হওয়ার খুব একটা সময় থাকছে না। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ওপরের শ্রেণিগুলোতে ওঠার জন্য মূল্যায়নের নানা বিকল্প চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে শিক্ষা প্রশাসন। এখন পর্যন্ত সিলেবাস কাটছাঁট করে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মূল্যায়নের বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার বিষয়ে ভিন্ন চিন্তাও আসতে পারে। আর পাবলিক পরীক্ষাগুলো পিছিয়ে নেওয়া হবে। পিছিয়ে যাচ্ছে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিও।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব চিন্তার কথা জানা গেছে। তবে তাঁরা বলছেন, আসলে সবকিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। কারণ আগস্টেও যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে ক্লাস হওয়ার সুযোগ আরও কমে যাবে।
তখন বিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা আদৌ নেওয়া যাবে কি না, তা তখনই বলা যাবে। তবে সেপ্টেম্বরেও যদি পরিস্থিতি ভালো হয় তাহলে যতটুকু ক্লাস নেওয়া যায় তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা যাবে। কারণ, বিকল্প হিসেবে সিলেবাস ধরেই ইতিমধ্যে টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস প্রচার করা হচ্ছে। এতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে। অবশ্য কোনো কোনো স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রথম আলোকে বলছেন, যদি পরীক্ষা নিয়েই মূল্যায়ন করতে হয় তাহলে সব বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে মৌলিক কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা যেতে পারে।