গলওয়ান কেন এত গুরুত্বপূর্ণ চীন ও ভারতের কাছে, জেনে নিন এর নামকরণের ইতিহাস
ধূসর পাহাড় আর বরফ ঢাকা শৈল চূড়া। লাদাখের এই ল্যান্ডস্কেপের মধ্য দিয়েই বয়ে চলেছে গলওয়ান নদী। যার উৎস কারাকোরাম পর্বতমালার পূর্ব অংশ। আকসাই চীন পেরিয়ে লাদাখের উপর দিয়ে গিয়ে শিয়ক নদীতে মিশেছে সেই ধারা। এই গতিপথের মধ্যেই আঁকা হয়েছে ভারত এবং চীনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)।
সম্প্রতি দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের সীমান্ত সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে পূর্ব লাদাখের এই গলওয়ান উপত্যকা। ‘গলওয়ান’ শব্দের অর্থ ডাকাত। অর্থাৎ ডাকাতের উপত্যকা। ব্রিটিশ রাজত্বে ওই সব এলাকা লুঠেরাদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছিল। এই গলওয়ান নদী ও উপত্যকার রুক্ষ ভূগোলের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে ভিন্ন স্বাদের এক ইতিহাস।
নয়াদিল্লি ও বেজিং দু’পক্ষের কাছেই স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ এই গলওয়ান উপত্যকা। পৃথিবীর উচ্চতম সীমান্ত এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম এই এলাকা। আর সে কারণেই ভূরাজনৈতিক দিক থেকে এই এলাকার গুরুত্ব ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
গত বেশ কয়েক দিন ধরেই গলওয়ান উপত্যকায় মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে ভারত এবং চীনের সেনা। সেনা স্তরে বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকেও দু’পক্ষের সম্পর্কের বরফ গলেনি।
সোমবার রাতে এই উপত্যকাতেই সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। তার পর থেকেই গলওয়ান উপত্যকার নাম উঠে আসছে বারবার।