নেত্রী চাইলে বিশেষ বিমানে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। একই সঙ্গে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, রাতের অন্ধকারে অনেকে বিদেশে চলে যাচ্ছেন। সরকারের নিজস্ব লোকজন। যদি ম্যাডাম চান তাহলে তার জীবন রক্ষার জন্য তার পছন্দ মতো যেকোনো দেশে যেতে দেয়ার ব্যবস্থা করা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। দুদক আইনজীবী বলছেন, বিদেশ যেতে হলে সরকারের পাশপাশি আদালতেরও অনুমতি নিতে হবে।
৬ মাসের কারামুক্তির প্রায় ৩ মাস শেষ হতে চললো বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই তিনমাস ঘরবন্দি বিএনপি নেত্রী। চিকিৎসারও সুযোগ পাননি বলে জানিয়েছে দলটি। ফলে মেয়াদ শেষ হলে কি হবে তা নিয়েই উদ্বিগ্ন বিএনপি ও তার আইনজীবীরা।
বেগম জিয়ার আইনজীবীর দাবি, বাড়ানো হোক মুক্তির মেয়াদ। নেত্রী চাইলে চিকিৎসার জন্য বিশেষ বিমানে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হোক ।
তবে শুরু থেকেই মুক্তির প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন দুদক আইনজীবী। এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার মামলার দুদক আইনজীবী বলেন, বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, এটা সরকার দিতে পারে না, প্রশ্নই আসে না। যদি আদালত অনুমতি দেয় তাহলে পারবে।
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, এ বিষয়ে তাদের কিছুই করার নেই। তবে আদালত অনুমতি দিলে আপত্তি নেই সরকারের।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মেয়াদ বাড়ানো এবং মুক্তির শর্ত শিথিল করে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইনজীবীদের একটি সূত্র।
এদিকে, অপহরণ ও হত্যার হুমকির মামলা হওয়ার পর ‘মুমূর্ষু রোগী’ সেজে গত ২৫ মে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে চলে যান সিকদার পরিবারের দুই পুত্র রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদার। তারা ব্যক্তিগত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংককের উদ্দেশে ছেড়ে যান।
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পরই বিশেষ বিমান উড্ডয়নের অনুমতি দেন তারা। তবে এসব ফ্লাইটের যাত্রী কারা হবেন, সে বিষয় দেখভাল করে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.