কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রেড জোনে ঘরেই প্রার্থনার নির্দেশ

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২০, ১৮:৩২

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রেড জোন হিসেবে ঘোষিত এলাকাগুলোর সর্বসাধারণকে ইবাদত বা উপাসনা নিজ নিজ ঘরে পালনের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শনিবার (১৩ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ৬ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে ইবাদত ও উপাসনা করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরবর্তী সময়ে গত ৬ মে অপর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উক্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদগুলোতে সুস্থ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জামাতে নামাজের অনুমতি প্রদান করা হয়।

বর্তমান বাংলাদেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে এবং সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগের চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় দেশের যে কোনও ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ বা সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

গত ১২ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে সর্বসাধারণের যাতায়াত বন্ধ রাখার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সকলের সঙ্গে পরামর্শে লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত ও উপাসনার বিষয়ে কিছু নির্দেশ প্রদান করা হয়।

নির্দেশনাগুলো হচ্ছে--

১. ভয়ানক করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ ব্যতীত অন্য সকল মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

২. উল্লিখিত এলাকাগুলোয় মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনধিক ৫ জন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের কোনও মুসল্লি মসজিদের ভেতরে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

৩. একইসঙ্গে উল্লিখিত এলাকাগুলোয় অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও