কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


মানিকগঞ্জ ফের  লকডাউন, ৩ উপজেলায় কঠোরভাবে পালনের সিদ্ধান্ত

মানিকগঞ্জ: আশঙ্কাজনক হারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় মানিকগঞ্জে জেলাকে আবারও লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।ঘোষণা অনুযায়ী মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া ও সিংগাইর উপজেলায় সর্বোচ্চ কঠোরভাবে লকডাউন পালন করা হবে বলে জানান করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির প্রধান এবং জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস। শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন।পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির সদস্যদের মতামত এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে ঘর থেকে বের হতে বারণ করা হয়েছে। যৌক্তিত কারণ ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ বাইরে থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শপিং মল, দোকানপাট ও কাঁচাবাজার যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করে খোলা রাখা যাবে। তবে আবশ্যিকভাবে বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ রাখতে হবে। সব পর্যায়ের সরকারি, বেসরাকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের অবশ্যই নিজ কর্মস্থলে থেকে দায়িত্বপালন করতে হবে। সবাইকে মুখে মাস্ক পড়া, একে অপরের সঙ্গে তিন ফুট দূরত্ব রেখে চলাসহ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এ জেলার বাইরে যাওয়া যাবে না এবং অন্য জেলা থেকে এ জেলার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবেন না। যৌক্তিক কারণে জেলার বাইরে থেকে আগত ব্যক্তিদের অবশ্যই নিজ ঘরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। জনসংখ্যা এবং পরীক্ষার আনুপাতিক হারে আক্রান্তের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া এবং সিংগাইর উপজেলাকে হটস্পট ধরা হচ্ছে। এ কারণে গত সোমবার করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির প্রধান এবং জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের আহবানে তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দসহ কমিটির সদস্যরা ওই সভায় উপস্থিত থেকে মানিকগঞ্জের অব্যাহত করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং কঠোরভাবে লকডাউন পালনের সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ জানান। সরকারি হিসেব মতে, এ পর্যন্ত মোট চার হাজার ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার বিভিন্ন ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে তিন হাজার ৭১৬টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যাতে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৩৮৭ জনের। এদের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ১১০ জন, সিংগাইরে ৭৬ জন, সাটুরিয়ায় ৭৪ জন, ঘিওরে ৫২ জন, হরিরামপুরে ৩৩, শিবালয়ে ২৭ জন ও দৌলতপুরে রয়েছেন ১১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩২ জন এবং নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ২৪৮ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১০৪ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন