কোরবানির ঈদে সবাই যখন ছুটির আমেজে, তখন পুরান ঢাকার নারিন্দায় ভাঙার চেষ্টা হয় ‘মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন স্মৃতি ভবন’। শতবর্ষী এ স্থাপনায় কেবল নয়, চলে আরও কয়েকটি ‘ঐতিহ্যবিনাশ অভিযান’।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দখলদারের পাশাপাশি পরিবারের উত্তর প্রজন্ম থেকে শুরু করে খোদ সরকারি সংস্থাগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ঐতিহাসিক এসব স্থাপনা। বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্যোগ কার্যত নেই।
শরৎগুপ্ত রোডের নাসিরউদ্দীন স্মৃতি ভবনটি ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন, ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগম, সাহিত্যিক রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাইয়ের স্মৃতিবিজড়িত। পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশকে এই বাড়িতে আসেননি- শিল্প-সাহিত্য অঙ্গনের এমন গুণিজন খুব বেশি পাওয়া যাবে না।
এবারের ঈদের ছুটি শুরুর আগেই পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে শতবর্ষী নারিন্দা স্যুয়ারেজ পাম্পিং স্টেশনের ঐতিহাসিক একটি ভবন। সেটিই ঢাকা ওয়াসার প্রথম স্যুয়ারেজ পাম্পিং স্টেশন।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে আরবান স্টাডি গ্রুপ।সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী তাইমুর ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “ঈদের আগে ও পরে- বিগত এক মাসের মধ্যে পুরান ঢাকায় অন্তত চারটি ঐতিহাসিক স্থাপনায় ভাঙচুর হয়েছে। এছাড়া বেশকিছু ঐতিহ্যিক স্থাপনা বেদখল হয়ে আছে। সেগুলো রক্ষায় সরকারের দায়িত্বশীলদের নজর নেই।”
পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর একযোগে ধ্বংসের প্রচেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আরবান স্টাডি গ্রুপ বলছে, “ঈদের ছুটির সুযোগে একযোগে এতগুলো স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনা আমাদের গভীরভাবে আতঙ্কিত করেছে।”