শ্রমিক নিয়োগে ৪ লাখ টাকা ঘুষ নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান
‘আমরা শ্রমিকের চাকরির জন্য ৩/৪ মাস আগে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ও চড়া সুদে টাকা ধার করে কদ্দুস চেয়ারম্যানকে দিয়েছি। দুই মাস ধরে রাস্তায় কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু কোনো বেতন পাচ্ছি না। একদিকে ঘরে খাবার নেই অপরদিকে টাকার সুদ ও সমিতির কিস্তির চাপ এখন আর সইতে পারছি না। এ করোনা বিপর্যয়ের সময় কত মানুষকে দেয়া হচ্ছে সরকারি সাহায্য, আমরা তাও পাচ্ছিনা’।
এভাবেই আবেগজড়িত কন্ঠে বর্ণনা দিচ্ছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউপির রুরাল ম্যান্টেনেন্স প্রোগ্রাম (আরএমপি)’র আওতায় নিয়োগ দেয়া ১০ জন অসহায় নারী শ্রমিক।
কথা ছিল প্রত্যেক শ্রমিককে মাসে বেতন দেয়া হবে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। ৪ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের দরিদ্র ও অসহায় শ্রমিকদের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জনা গেছে, আরএমপি পরিচালিত হচ্ছে এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আরএমপি প্রকল্পের শ্রমিক মঠবাড়ী ইউপির খাঘাটি গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী হাফিজা খাতুন জানান, নিয়োগের জন্য ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন কদ্দুস চেয়ারম্যান।
বাদামিয়া গ্রামের ফারুকের স্ত্রী মিনা আক্তার জানান, গরিব বলেই তো রাস্তার কাজ করতে এসেছি। মঠবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আ. কদ্দুস চার মাস আগে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন এখনো বেতন দিচ্ছেন না। অনেক কষ্টে টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছি। ঘরে খাবার নেই এখন যে কিভাবে চলব জানিনা।