সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তির দাবিতে জবির ১৯ ছাত্র নেতৃবৃন্দের বিবৃতি
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সৃষ্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া ও শিক্ষাব্যয় সংক্রান্ত সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিক উদ্যোগ ও সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন সমূহসহ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের ১৯ জন শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান।বিবৃতিতে তারা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান সংকটে সবচেয়ে মানবিক সংকট বাড়িভাড়া সংক্রান্ত বিষয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত দেশের একমাত্র অনাবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করতে হয়। চলমান করোনা পরিস্থিতি সেই সংকটকে আরও বেশি ঘনীভূত করেছে। টিউশন বা কোচিং ক্লাস করে যারা ঢাকা শহরে জীবিকা নির্বাহ করতো বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের জীবনধারণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংকট অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে মেস মালিকদের সাথে শিক্ষার্থীদের ভাড়া নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়েছে। এর মূল কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া পরিশোধের আর্থিক সক্ষমতা নেই। দীর্ঘদিন এমন পরিস্থিতি চলমান থাকায় এটি এক মানবিক সংকট তৈরি করেছে।
আমরা মনে করি চলমান বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আবাসন ব্যবস্থা থাকা সত্বেও তারা শিক্ষার্থীদের বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত বিষয় গুরুত্বের সাথে নিয়ে সমাধানে এগিয়ে এসেছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা জরুরি।
আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, শিক্ষার্থীদের গড় মেস ভাড়া ১৭০০-২৫০০ টাকা। এর মধ্যে প্রতিমাসে ১৫০০ টাকাও যদি আর্থিক সাহায্য পাওয়া যেতো, এই সংকট অনেকটাই উতরে ফেলা যেতো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত সকল ব্যাচে মিলিয়ে সর্বমোট শিক্ষার্থী আছেন ১৬ হাজার ৯১৭ জন। এদের প্রত্যেককে আগামী ৬ মাসও যদি ১৫০০ টাকা করে সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া যায় তাহলে এর মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি শিক্ষার্থী ৬ মাসে ৯,০০০ টাকা করে পাবে। এই মহাসংকটে এই টাকাটা সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে দেওয়া হলে, মেস ভাড়াসহ শিক্ষা সংকট দূর হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.