নিউইয়র্কের পাঁচ সড়কের নাম হবে ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার ওয়ে’
আমেরিকার চলমান নাগরিক অধিকার আন্দোলনের জনপ্রিয় স্লোগান ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার’কে স্মরণীয় করে রাখতে নিউইয়র্কের পাঁচটি সড়কের নাম পরিবর্তন করা হবে। নগরীর ম্যানহাটন, কুইন্স, ব্রুকলিন, ব্রঙ্কস ও স্ট্যাটেন আইল্যান্ডে একটি করে সড়কের নাম হবে ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার ওয়ে’। এর আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের সামনের একটি সড়কের একাংশে এই নামকরণ করা হয়েছে। ৯ জুন নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও নিউইয়র্কেও এমন নামকরণ করে নাগরিক আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
গত ২৫ মে মেনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে নিহত জর্জ ফ্লয়েডের বিচারের দাবি ছড়িয়ে পড়ে পুরো আমেরিকায়। এ দাবি আমেরিকায় বিরাজমান বর্ণবৈষম্য নিয়ে মানুষের চাপা ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়। আমেরিকার সর্বত্র প্রতিবাদ–বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। পুলিশের হাতে একের পর এক নিহত ও নিগ্রহের শিকার কৃষ্ণাঙ্গ-আমেরিকানদের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভটি নাগরিক আন্দোলনে রূপ নেয়। সব বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে এ আন্দোলন চলছে। রাজ্যে রাজ্যে এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পুলিশ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনপ্রণেতারা নড়েচড়ে বসেছেন। হোয়াইট হাউসের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে।
এর মধ্যে ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বোসার হোয়াইট হাউসের কাছের একটি সড়ক পথে হলুদ কালি দিয়ে লিখে দেন ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার ওয়ে’। এই সড়কের নামফলকও ঝুলিয়ে দেওয়া হয় গত সপ্তাহে। নিউইয়র্ক নগরীর পাঁচ বরোতে গত ১৫ দিন ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এখনো থেমে থেমে আন্দোলনকারীরা সুশৃঙ্খল আন্দোলন করে যাচ্ছেন। সবার মুখে মুখে স্লোগান ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার’। সাম্যের দাবিতে তাঁরা রাজপথ দখলে রেখেছেন। যুব-তরুণের অংশগ্রহণে আমেরিকার সামাজিক পরিবর্তনের দাবি উচ্চারিত হচ্ছে আন্দোলন থেকে।