তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির দাবি ১৮ সংগঠনের
আসন্ন জাতীয় বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর প্রস্তাব পেশ করতে সংবাদ সম্মেলন করেছে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত ১৮ সংগঠন। সংবাদ সম্মেলনে সকল তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ ও সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে দুইটিতে নামিয়ে আনার জোর দাবি জানানো হয়। আগামী ২০২০-২১ অর্থ-বছরের জন্য সকল তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ ও করারোপের প্রস্তাব পেশ করার পাশাপাশি একটি যুগোপযোগী ও কার্যকর ‘জাতীয় তামাক কর নীতি’ প্রণয়নসহ নানা সুপারিশও পেশ করেন তারা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় মিটিং সফটওয়্যার ‘জুম’ এ ‘তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ ও সিগারেটের মূল্যস্তর কমানোর দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এইড ফাউন্ডেশন, আর্ক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা), বিসিসিপি, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি), ঢাকা আহসানিয়া মিশন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, প্রজ্ঞা, সুশাসনের জন্য প্রচারাভিজান (সুপ্র), তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ), টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও ইপসা সম্মিলিতভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর ফোকাল পার্সন অর্থনীতিবিদ ড. রুমানা হক সাংবাদিকদের কাছে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির প্রস্তাব তুলে ধরেন। সেখানে সিগারেটের মূল্যস্তর ৪টি থেকে কমিয়ে ২টি নির্ধারণ করে নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারটের খুচরা মূল্য ৬৫+ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক এবং উচ্চস্তরে ১০ শলাকা মূল্য ১২৫+ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৯ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়। বিড়িতে বিভিন্ন বিভাজন তুলে ফিল্টার ছাড়া ২৫ শলাকা খুচরা মূল্য ৪০ টাকা; ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৬.৮৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক এবং ফিল্টারসহ ২০ শলাকা খুচরা মূল্য ৩২ টাকা; ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৫.৪৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক আরোপের প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪১ টাকা; ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৫.৭১ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২৩ টাকা; ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৩.৪৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়। একইসাথে সকল তামাকজাত পণ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের পাশাপাশি ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপেরও প্রস্তাব করা হয়।