বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমানোর জন্য ক্যাবের ১৩ সুপারিশ
দেশে বিদ্যমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যহার পর্যালোচনা করে দাম কমানোর জন্য ১৩টি সুপারিশ করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে একটি চিঠিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমানোর প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারিতে বর্তমানে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পেয়েছে। ভোক্তার ভোগব্যয় এখন খুবই সীমিত। ফলে সরকারের রাজস্ব আসছে না। উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মূল্যহার যদি না কমে, তাহলে ভোক্তার ভোগব্যয় বাড়বে না। ফলে ট্যাক্স, ভ্যাট, ডিউটি- এসব প্রবাহ না বাড়ায় সরকারের রাজস্ব বাড়বে না। তাই সবার আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমিয়ে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে পণ্য ও সেবার দাম কমাতে হবে।
বিইআরসির কাছে ক্যাবের পক্ষ থেকে দেয়া প্রস্তাবগুলো হলো :
সব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বাদ দিয়ে এবং ২০ বছরের বেশি বয়সী সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে উৎপাদনের বাইরে রেখে উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণক্রমে বিদ্যুতের মূল্যহার কমানো। বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও গ্যাস উন্নয়ন উভয় তহবিলের অর্থ সুদে বিনিয়োগের পরিবর্তে যথাক্রমে পিডিবির বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বাপেক্সের গ্যাস অনুসন্ধানে অনুদান হিসেবে বিনিয়োগক্রমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যহার কমানো। বিদ্যুৎ/গ্যাস সরবরাহে অযৌক্তিকভাবে সম্পদ অর্জন রোধ করে ও সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করে মূল্যহার কমানো।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার মূল্যহার কমানো। সেই সঙ্গে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করা। ব্যক্তিখাতের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেনা রহিত করে এবং সরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের মূল্যহারে তেলের আমদানি ব্যয় হ্রাসে সমন্বয় করা।
মূল্যহার ন্যায্য ও যৌক্তিক করার লক্ষ্যে বিইআরসি আইন মতে বিইআরসি থেকে এলপিজি ও জ্বালানি তেলের মূল্যহার নির্ধারণ করা। বিগত গণশুনানিতে বিদ্যুৎ/গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে চিহ্নিত অযৌক্তিক ব্যয়গুলো যৌক্তিক করে মূল্যহার কমানো।
অর্থনীতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করে মূল্যহার কমানোর লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারি কোম্পানিগুলো কস্ট প্লাস নয় শুধু কস্টভিত্তিতে পরিচালিত করা এবং সেই সঙ্গে ট্যাক্স, ভ্যাট, ডিউটি ইত্যাদি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে কমিয়ে আনা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.