কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চুয়াডাঙ্গায় ১২৬৬ বস্তা চাল জব্দ, গোডাউন সিলগালা

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২০, ১৪:২৪

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের প্রভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিশ্বের অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি হারাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। এরই পথ ধরে করোনা ভাইরাসের থাবা পড়েছে দেশের রপ্তানির ৮৪ ভাগ আয় আসা পোশাকখাতেও। তৈরি পোশাক কারখানায় লেঅফ ও শ্রমিক ছাঁটাই শুরু হয়। দেখা দেয় শ্রম অসন্তোষ। পোশাকখাতের সমস্যা নিরসনে সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় মে মাস পর্যন্ত শ্রমিক ছাঁটাই ও লেঅফ না করার অঙ্গীকার করে মালিকপক্ষ। তবে ঈদুল ফিতরের পর থেকে আবার একের পর এক শুরু হয় শ্রমিক ছাঁটাই। পোশাকশিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, কারখানায় কাজ না থাকা সত্ত্বেও দুই মাস ধরে বেতন দেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের। উন্নত বিশ্বে বড় বড় কোম্পানির কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিক ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর কারখানা লেঅফ করে আমরা ৬০ শতাংশ বেতন দিয়েছি।


কারখানায় কাজ না থাকলে বসে বসে বেতন কীভাবে দেব আর। মালিকপক্ষের আশঙ্কা বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এক বছরের মধ্যে কারখানায় ২৫ শতাংশ শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। বর্তমানে ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান পোশাকখাত। সে হিসেবে কাজ হারাতে পারেন ১০ লাখ শ্রমিক। তবে উদ্যোক্তাদের কথার সঙ্গে একমত নন শ্রমিক নেতারা। তাদের মতে, কোনো কারখানা মালিক বসিয়ে রেখে শ্রমিকের বেতন দেননি। তারা কাজ করেছেন। জীবন বাজি রেখে কারখানায় এসেছেন। আর শ্রমিক ছাঁটাই করতে হলে শ্রম আইন অনুযায়ী করতে হবে। তাদের সুযোগ-সুবিধা বুঝিয়ে দিতে হবে। বর্তমানে মালিকপক্ষ সেটা না করে মুনাফার জন্য যা যা করার তাই করছে। এটা হতে দেওয়া হবে না।


করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। প্রণোদনার অর্থ থেকে এখন শ্রমিকদের বেতন হচ্ছে। এছাড়া ঋণ, এলসি সেটলমেন্ট, পরিষেবার বিল পরিশোধ, ভ্যাট ট্যাক্সসহ বেশ কিছু খাতে সুবিধা দেওয়া হয়েছে পোশাকশিল্প উদ্যোক্তাদের। পোশাকখাতে শ্রমিকরা যাতে চাকরি না হারান, সে জন্য বিশাল অঙ্কের প্রণোদনার পাশাপাশি দাতা প্রতিষ্ঠান ও ক্রেতারা পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। কিন্তু এরপরও একের পর এক ছাঁটাইয়ের শিকার হচ্ছেন শ্রমিকরা। শিল্প উদ্যোক্তাদের আশঙ্কা, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী এক বছরের মধ্যে আরও শতাধিক কারখানা বন্ধ হতে পারে। ইতোমধ্যে ২৫/২৬টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। অনেকে বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। আর বিকেএমইএ বা বিজিএমইএ-এর সদস্য না এমন আরও বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও