বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ যোগাযোগে, ৬.৩৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে
অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকি মোকাবিলার পরিকল্পনা নিয়েই প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট। প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ, পরামর্শ, নির্দেশনা সংযোজন-বিয়োজন করে প্রায় ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার ব্যয় চূড়ান্ত করা হয়েছে এবারের বাজেটে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কাল সোমবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাজেটের বাকি খুঁটিনাটি দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
করোনার কারণে এবারের বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাত। তবে স্বাস্থ্যখাত যোগাযোগ বা পরিবহন খাতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না। বিভিন্ন কারণে অতীতের ন্যায় এবারও সেতুসহ পরিবহন খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এবছর এ খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ২৫ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ করা হচ্ছে ৬.৩৫ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন এডিপিতে ১০টি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিবহন খাতে (সড়ক ও সেতু মিলিয়ে) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অবকাঠামো, পানি সরবরাহ ও গণপূর্ত খাতকে দ্বিতীয় গুরুত্ব দিয়ে এই খাতে বরাদ্দ ২৫ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা, যা বাজেটের ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ খাত। ১২ দশমিক ০৯ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। এতে খরচ হবে ২৪ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে শিক্ষা ও ধর্ম। এ খাতে বরাদ্দ ২৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ। বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে মোট বরাদ্দ ১৮ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে বরাদ্দ ১৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় খাতে বরাদ্দ ১৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। কৃষি খাতে বরাদ্দ ৮ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা, মোট বাজেটের ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ। পানি সম্পদ খাতে বরাদ্দ ৫ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। জনপ্রশাসন খাতে বরাদ্দ ৪ হাজার ৪৮ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।