করোনার মধ্যেও তদন্ত অব্যাহত থাকবে : দুদক চেয়ারম্যান
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগপূর্ণ সময়েও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে দুর্নীতিপরায়ণদের প্রতি নমনীয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ ক্যাসিনোকাণ্ডে কমিশনের অনুসন্ধান বা তদন্তে শিথিলিতা এসেছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসায় দুদক চেয়ারম্যান শুক্রবার (৫ জুন) এমন মন্তব্য করেন। দুদক চেয়ারম্যান বলনে, ‘গণমাধ্যমে এ জাতীয় সংবাদ দেখেছি, তবে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে পারি, কমিশন ক্যাসিনোকাণ্ডে যেসব অভিযোগ আমলে নিয়েছে সেসব বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্তে শিথিলতার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, করোনার কারণে অপরাধীদের প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ারও সুযোগ নেই। প্রতিটি অনুসন্ধান ও তদন্ত চলমান। এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট) কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলনে, ‘করোনা মহামারি শুরুর প্রারম্ভেই এসব সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়। এগুলো খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো প্রতিষ্ঠান ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে এটা স্বাভাবিক, এক্ষেত্রে দুদকের কিছু করণীয় নেই। তবে এসব ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটলে দুদক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘এন-৯৫ মাস্ক এবং পিপিই ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি বা প্রতারণার কিছু খবর এসেছে। কমিশন এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন সংরক্ষণ করছে। এছাড়া কমিশনের অভিযোগকেন্দ্র হটলাইন-১০৬-এ স্বাস্থ্য খাতের বেশকিছু কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিটকেও এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেয়া হয়। কমিশন সার্বিকভাবে এসব কেনাকাটার বিষয়গুলো অনুসরণ করছে।’ তিনি বলেন, ‘মাস্ক বা পিপিইর মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী যা চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত।