করোনা ভাইরাস: সুরক্ষা সামগ্রীর রমরমা ব্যবসা, নেই তদারকি

বিবিসি বাংলা (ইংল্যান্ড) প্রকাশিত: ০৪ জুন ২০২০, ২২:০৯

সাইফুল বাশার একটি রেস্টুরেন্টের মালিক ছিলেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এখন চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রি করছেন।

তিনি বলছিলেন, "আগে এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, যেহেতু নিজের ব্যবসা, কোন চাকরি করি না, তাই আয়ের একটা উপায় খোঁজার চেষ্টা করলাম। তখন অনলাইনে দেখলাম প্রচুর মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। তখন চিন্তা করলাম এটা করা যায়।"

এরপর পরিচিত একজন আমদানিকারকের মাধ্যমে চীনে যোগাযোগ করে সেখান থেকে সরাসরি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দরকারি সুরক্ষা সামগ্রী আনা শুরু করলেন।

একটি মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ লেনদেনের প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন এমন আরেকজন বলছেন তিনি ফেসবুকে মাস্ক ও গ্লাভস বিক্রি করছেন।

তিনি বলছেন মাস্ক বিক্রি ও এর মান নিয়ন্ত্রণের জন্য তাকে কোথাও থেকে কোন অনুমোদন নিতে হয়নি। তিনি বলছেন, "আমার কোন বাড়তি অনুমোদন নেই। আমি কোন অনুমতি নেই নি। আমরা যার কাছ থেকে এগুলো নেই উনিই এইগুলো মেইনটেইন করেন।"

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পরপরই ঔষধের দোকানগুলোতে হ্যান্ড-স্যানিটাইজার, মাস্ক ও গ্লাভস কেনার হিড়িক লেগেছিল।

সংক্রমণ বাড়তে থাকার পর কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় দরকারি সামগ্রী যেমন অক্সি-মিটার, পোর্টেবল অক্সিজেন ক্যান, পোর্টেবল ভেন্টিলেটর, ফেস-শিল্ড এমনকি অক্সিজেন সিলিন্ডারের বিক্রিও ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

কোভিড-১৯ না হলেও অনেকে অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে রেখে দিচ্ছেন।

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অক্সিজেন প্রস্তুতকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানি লিন্ডে-র বিক্রয় কেন্দ্রে খবর নিয়ে জানা গেল অক্সিজেনের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তারা।

তবে সবচেয়ে বেড়েছে মাস্কের চাহিদা। লাঠিতে ঝুলিয়ে অথবা পলিথিনের ব্যাগে করে রাস্তায় ঘুরে ঘুরেও বিক্রি করা হচ্ছে মাস্ক ও গ্লাভস। দেশেই তৈরি হচ্ছে পিপিই। এসব সামগ্রীর মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও