কোভিড-১৯ হাসপাতালে চিকিৎসা কতটা পাচ্ছেন রোগীরা?
বেশ কয়েক দিনের জ্বরে ভোগার পর এক পর্যায়ে শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা দেখা দেয় সুমাইয়ার (ছদ্মনাম)।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে সুমাইয়ার মা তাকে বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে যান ভর্তি করতে।
তবে তার সমস্যার সাথে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গের মিল থাকার কারণে সেখানে তিনি ভর্তি হতে পারেননি।
পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শরীরে জ্বর থাকার কারণে সেখানেও ভর্তি না নিয়ে পাঠানো হয় বার্ন ইউনিটে। সেখানে জায়গা না পেয়ে এর পর সুমাইয়া যান মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। তবে শয্যা সংকটের কারণে সেখানেও ঠাই হয়নি তার।
শেষমেশ সুমাইয়া ভর্তি হন কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে।
বিবিসি বাংলাকে সুমাইয়া বলছিলেন, হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার মা তাকে রেখে বাড়িতে চলে যান। তবে ভর্তি হওয়ার ৪-৫ ঘণ্টা পরও কোন সেবা পাননি সুমাইয়া।
"ভর্তি হইছি, কিন্তু আমার বুকে জ্বালাপোড়া কমছিল না। ৪-৫ ঘণ্টা কোন ডাক্তার-নার্স কেউ আসে নাই আমাকে দেখতে। একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয়া হইছে, কিন্তু সেইটাও আমি পড়তে পারি না," বলেন তিনি।
"ডাক্তাররা এমন ভাব করে যেন করোনা হওয়ার কারণে কোন অপরাধ করে ফেলছি আমি।"