করোনাভাইরাস: পুলিশ হাসপাতালে হোমিও ঔষধও নিচ্ছেন অনেকে, কিন্তু এতে কাজ হচ্ছে?
বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, ১ জুন পর্যন্ত দুই হাজার উনষাট জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, এ পর্যন্ত ৫,৩৩৩ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের ১৬ জন পুলিশ সদস্য।
ঢাকায় পুলিশের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে শুরু থেকেই আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার পাশাপাশি আলাদা করে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য।
তবে কেন্দ্রীয় হাসপাতালে করোনা রোগী এবং ওই কম্পাউণ্ডে বসবাসকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত চিকিৎসার বাইরে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায়।
এজন্য একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক অনানুষ্ঠানিকভাবে জড়িত হয়েছেন হাসপাতালটির সাথে এবং হাসপাতালের আউটডোরেই ডিসপেনসারি দেয়া হয়েছে তার।
যদিও হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শান্ত বলছেন, পুলিশ হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল ও গাইডলাইন অনুসরণ করছেন।
"হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার সাহেব নন কোভিড জোনে বসছেন। তবে কোভিড-১৯ রোগীদের কাছে তার যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই করোনায় আক্রান্তরা তার ঔষধে কেউ সেরে উঠেছেন এটা বলা যাবেনা। আর কেউ যদি নিজ উদ্যোগে তার ঔষধ নিয়েও থাকেন তাহলে তাতে তিনি কী ফল পেয়েছেন তাও আমরা জানিনা"।
আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন বক্তব্য আসলেও পুলিশ হাসপাতালেরই কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বিভিন্ন ভাবে রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
"এবং রোগীদের অনেকেই নিয়মিত অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিচ্ছেন। এছাড়া সেখানকার পুলিশ সদস্যদের পরিবারগুলোতেও এ ঔষধের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে," বলছিলেন একজন কর্মকর্তা।
আর হোমিও চিকিৎসক রাশিদুল হক বিবিসি বাংলাকে বলছেন, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে গত ১৬ই মে থেকে পুলিশ হাসপাতালের সাথে জড়িত হয়েছেন।