You have reached your daily news limit

Please log in to continue


স্বাস্থ্যবিধি মানলেও ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা

ঢাকা: রাজধানীতে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই গণপরিবহনে চড়ে গন্তব্যস্থলে যাতায়াত করছেন মানুষ। সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গণপরিবহন চলছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে। ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার চিত্রও নজরে পড়েছে।নাগরিকরা বলছেন, সরকার যা বলেছে গণপরিবহনগুলো তার কিছুটা পালন করছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই আশঙ্কা লুকিয়ে আছে। সরজমিনে দেখা গেছে, বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের হাতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। দুএকটি ব্যতিক্রম ছাড়া দুই আসনে একজন করে যাত্রী বসছেন। দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বাসে ওঠার সময় যাত্রীরা গায়ে গা ঘেঁষে উঠছেন। হেলপার দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন, বাসে উঠতে গেলে তার গায়ে স্পর্শ লাগছে সব যাত্রীরই। বাসের হেলপার, কন্ডাকটরও ঠিকমতো মাস্ক ব্যবহার করছেন না। অনেক হেলপারকে নাক বের করে শুধু মুখের ওপরে মাস্ক পরতে দেখা গেছে। এছাড়া বসার আসনগুলোতে ময়লা দেখলে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় সেগুলো জীবাণুমুক্ত করা হয়নি। তাছাড়া প্রত্যেক ট্রিপের পর আসনগুলো জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে কি না তা দেখারও কেউ নেই। ফলে শুধু হাত জীবাণুমুক্ত করে দূরত্ব বজায় রেখে বসলেই যাত্রীরা আশঙ্কামুক্ত থাকছেন না। অনেক যাত্রীই এ প্রক্রিয়াকে ‘লোকদেখানো’ বলে অভিহিত করেছেন। গণপরিবহন চালুর দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (০২ জুন) রাস্তায় বাসের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। সেই সঙ্গে যাত্রীর সংখ্যাও বেশি দেখা গেছে। দেখা গেছে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডাও। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর পল্টন মোড়ে কন্ডাকটর ও যাত্রীদের মধ্যে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হতে দেখা যায়। অসচেতনতার কারণে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে অনেকের আপত্তি না থাকলেও বর্ধিত ভাড়া অনেকেই এখনো মেনে নিতে পারেননি। এছাড়া লোকদেখানো হলেও কতদিন এ স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা। সরেজমিনে সদরঘাট থেকে মিরপুরগামী বিহঙ্গ পরিবহনের বাসে ওঠার সময়ই হাতে জীবাণুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হয়। কিন্তু বাসের মধ্যে কোনো স্যানিটাইজার ছিল না। এছাড়া যাত্রী ওঠানামার ক্ষেত্রে তিন ফুট শারীরিক দূরত্বও রক্ষা করা হয়নি। এ বিষয়ে বাসটির হেল্পার রাসেল বলেন, ‘আপনে ওঠার সময়ই তো হাতে স্প্রে মারছি। আর তো কিছু নেই।’ স্প্রেতে কী কী মেশানো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমার জানা নাই। তবে কাজ হয় এটা দিয়া!’ অন্যদিকে, পল্টন মোড়ে বিআরটিসির একটি বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের জীবাণুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হয়নি। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাসে অর্ধেক সংখ্যক আসনে যাত্রী নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছে বিআরটিএ। কিন্তু বর্ধিত ভাড়ার তালিকা নেই কোনো বাসেই। চালক-হেল্পাররা জানান, সরকার থেকে বাড়তি ভাড়ার কোনো তালিকা আসেনি তাদের কাছে। তাই তারা নিজের মতো হিসাব করে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। যাত্রীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও আসছে। এ বিষয়ে সুপ্রভাত পরিবহনের যাত্রী আল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগে পল্টন মোড় থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটে যেতাম ৩০ টাকায়। ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়লে তা ৪৮ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু আমার কাছ থেকে ৫৫ টাকা রাখা হয়েছে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন