আরব বসন্তের পর এবার আমেরিকান বসন্ত?

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০২ জুন ২০২০, ১৬:০২

২০১০ সালে তিউনিসিয়ায় শুরু হয়েছিল আরব বসন্ত। এরপর এর ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। আরব বসন্তের শুরুটা ছিল মোহাম্মদ বোআজিজি নামের ২৬ বছরের এক শিক্ষিত ফেরিওয়ালার আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে। সেই দিন শেষ হয়ে গেছে। তবে ওই ঘটনার এক দশক পর ২০২০ সালের দৃশ্যপটে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক! তবে তিনি আত্মহত্যা করেননি। পুলিশের আঘাতে মৃত্যুবরণ করেছেন।

পুলিশের হাতে এই কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানের মৃত্যু নিয়ে যে তুমুল সহিংস বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে, তার নজির বিরল। বলা হচ্ছে, ১৯৬৮ সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের হত্যাকাণ্ডের পর বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এমন জনরোষ আমেরিকাতে আর চোখে পড়েনি। মোহাম্মদ বোআজিজি-র আত্মাহুতি যেমন আরব বসন্ত ডেকে নিয়ে এসেছিল; জর্জ ফ্লয়েড’র নৃশংস হত্যাকাণ্ড যেন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ডেকে এনেছে তেমনি আরেক বসন্ত।

চীন বা ইরানের মতো মার্কিনবিরোধী দেশগুলো যাকে আখ্যায়িত করছে ‘আমেরিকান বসন্ত’ হিসেবে। এই সুযোগে আমেরিকাকে একচোট দেখে নেওয়ার সুযোগ ছাড়ছে না প্রধান দুই বৈরি দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রে এই বিক্ষোভ নিয়ে অনেক চর্চা চলছে চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায়, এবং ‘হট‘ বা সবচেয়ে ব্যবহৃত দুটো শব্দ হচ্ছে - ‘আমেরিকান স্প্রিং‘ বা আমেরিকান বসন্ত।

চীনের সরকার সমর্থিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস বলছে, চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম উইবোতে যুক্তরাষ্ট্রে জনবিক্ষোভ নিয়ে দুটো হ্যাশট্যাগে - #আমেরিকান স্প্রিং এবং #ইউএস রায়ট - কোটি কোটি মানুষ কথা বলছে, শেয়ার করছে। গ্লোবাল টাইমস বলছে, আমেরিকার ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড‘ বা দ্বৈতনীতি মানুষের চোখের সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

চীনা এই পত্রিকা বলছে, হংকংয়ে বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমেরিকার ঘুম নেই, কিন্তু নিজের দেশের পুলিশ মানুষের ওপর নির্যাতন করছে। শুধু মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়াই নয়, চীনা সরকারও কথা বলতে শুরু করেছে। সোমবার বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও জীবন, তাদের মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে একটি চলমান অসুখ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও