ছোট বোনের বয়স ৬৯। তিনি দেখাশোনা করবেন বলে গত ৬ এপ্রিল বড় বোন আর দুলাভাইকে নিজের কাছে নিয়ে এসেছেন। বড় বোনের বয়স ৭৮। আর দুলাভাইয়ের বয়স অন্তত ৮৮, তবে এ নিয়ে একটা মধুর বিতর্ক আছে। ঢাকায় শ্যামলীর বাড়িতে আপা-দুলাভাইকে দেখভালের কেউ ছিল না। তাঁদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডায়। অবশিষ্ট মেয়েটি বৃদ্ধা শাশুড়ি, দুই বাচ্চা আর স্বামীকে নিয়ে উত্তরায় থাকেন। লকডাউনে সেটা দূরদেশে থাকার মতোই। ছোট বোন রাশেদা নাসরীনের দুই সন্তানও যুক্তরাষ্ট্রনিবাসী। মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে ৩২ বছরের পুরোনো গৃহ ‘সহকারী’ শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী এক নারীকে নিয়ে তাঁর একার সংসার। তাঁর অবশ্য আরেকটি বড় সংসার আছে। সেটার সদস্য প্রায় ৫০০ জন।
এই তিন প্রবীণের সঙ্গে আমার পরিচয় হওয়াটা নিতান্তই কোভিডকালীন কাকতাল। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আদাবরে শেখের টেকের এক বাড়িতে গিয়েছিলাম কয়েকজন তরুণের সঙ্গে আলাপ করতে। তাঁরা লকডাউনের শুরু থেকে বিভিন্ন এলাকায় রোজগার হারানো মানুষদের যথাসাধ্য সহায়তা জুগিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষদের ছোট-বড় সহায়তানির্ভর উদ্যোগগুলো যে কটি পরিবারকে পারে চাল-ডাল-আলু, সাবান, ওষুধ, কখনোবা নগদ টাকা পৌঁছে দিচ্ছে। যে বাড়িতে গিয়েছিলাম, সেখানে উদ্যোক্তাদের একটি দল রমজান মাসে ডিম-খিচুড়ি রান্না করিয়ে রোজ ৪০টির বেশি পরিবারকে এক বেলা খাইয়েছে। ঈদের দিন ৭৫০ জনকে খাইয়েছে মুরগির তেহারি। ফেসবুকে যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষের পাশে মানুষের দাঁড়ানোর এমন সব গল্প পরে কখনো বলব। তবে এক গল্পের সুতোয় জড়িয়ে আরেক গল্প আসে। আমার আজকের গল্পটার শুরু যেমন সেদিনের স্বেচ্ছাসেবকদের আড্ডা থেকে।
আড্ডায় ফেরদৌস আহমেদ মানুষের সহযোগিতা পাওয়ার প্রসঙ্গে রাশেদা নাসরীনের নাম করলেন। একটু পরেই মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে ফেরদৌস আমাকে ফোনটা ধরিয়ে দিলেন—‘রাশেদা আপা’। থতমত খেয়ে কুশল জিজ্ঞাসা করি। রাশেদা বললেন, তিনি ভালো আছেন। তবে বাসায় প্রবীণ আপা-দুলাভাই আছেন। দুজনই ওপেন-হার্ট সার্জারি করা হৃদ্রোগী। তাঁদের ভালো রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন। প্রশ্ন করে তিনজনেরই বয়স ৬৯, ৭৮ আর ৯০ জেনে আমি চমৎকৃত। কে কাকে দেখে? রাশেদা হেসে বলেন, ‘আমরা একজন আরেকজনকে দেখি।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.