বিএনপিতে খালেদা জিয়া অনুসারী এবং তারেক রহমান অনুসারীদের মতপার্থক্য এখন আর গোপন কিছু নয়। মা ছেলের ক্ষমতার এই লড়াইয়ে বিপর্যস্ত বিএনপির বিভিন্ন বৈঠকে তা স্পষ্ট বা প্রকাশ্যে রূপ নিতে শুরু করেছে। জানা গেছে, বিএনপি'র শীর্ষ নেতৃত্বে এখন তারেক এবং খালেদা জিয়ার বিভক্ত। ২০১৪ সালের নির্বাচনের কথাই ধরা যাক, ওই নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে ছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু লন্ডনে অবস্থানরত ছেলে তাকে বিভিন্ন কিছু বুঝিয়েছেন। এভাবে প্রতিটি সিদ্ধান্তে পুত্রের বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন খালেদা। কিন্তু এবার জেল জীবনে প্রকাশ্যেই ছেলের সমালোচনা করেছেন তিনি। ছেলের অনেক সিদ্ধান্ত তিনি নাকচ করে দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দীর্ঘ দুই বছর এক মাস ১৬ দিন কারাভোগের পর গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা। মুক্তি পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত তিনি তারেকের বিশ্বস্ত কারো সঙ্গে দেখা করেননি। সূত্র আরো জানায়, বিএনপিতে এখন তারেক জিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আবদুল আউয়াল মিন্টু, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী। তাই তিনি এদের সঙ্গে কোন পরামর্শ বা এখন পর্যন্ত দেখাও করতে চাননি। তাইতো দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বারবার একা ডেকে তিনি কোনো হঠকারীতা করে কোনো সিদ্ধান্ত না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তারেক সম্পর্কে বলেছেন, ও দীর্ঘদিন বিদেশ থাকে দেশের বাস্তবতা বুঝে না, আপনি আপনার মত করে দলের কার্যক্রম চালান। আর জেল থেকে মুক্তির পরও তিনি প্রথম দলের মহাসচিবের কাছেই সবকিছু জানতে চেয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি'র সিনিয়র এবং দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, বিএনপিতে মা-ছেলের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আজকের নয়। কর্তৃত্বের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল ২০০১ সাল থেকেই। বিএনপিতে মায়ের নিরংকুশ কর্তৃত্বে ভাগ বসাতে আলাদা বলয় গড়ে তুলেছিলেন তারেক জিয়া। যার ফলে ২০০৬ সালে দলে নিজেই কোণঠাসা হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.