বেনাপোলে রেলপথে আমদানি হলো প্রথম খাদ্যদ্রব্য
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল স্থলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় রেলপথে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। কাস্টমস ও রেলওয়ে বিভাগের পণ্য ছাড়করনের কার্যক্রম চলছে। এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে রেলপথে আমদানির অনুমতি দেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় ৪২ টি ওয়াগানে ভারত থেকে ২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ ও আদা আমদানি করা হয়। এটি বেনাপোল রেলপথে প্রথম খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কোন পণ্যের আমদানি। পণ্যের আমদানিকারক বগুড়ার রুবেল এন্টারপ্রাইজ, সিঅ্যান্ডএফ এফ এজেন্ট বেনাপোলের রাজিব ট্রেড লংট্রেড। আমদনিকারকের প্রতিনিধি বাদশা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে স্থলপথে আমদানি বন্ধ থাকায় তাদের এসব পণ্য আড়াই মাস যাবত ভারতের পেট্রাপোলে বন্দরে আটকা ছিল। অবশেষে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় রেলপথে এসব পণ্য ঢুকেছে। এতে তারা কিছুটা হলেও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবেন।
বেনাপোল বন্দর সূত্র জানায়, বাংলাদেশে শিল্প কারখানার জন্য ভারতীয় পণ্য, কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। আমদানিকারকরা চীন ও ইউরোপের পরিবর্তে ভারত থেকে পণ্য ও কাঁচামাল আনতে আগ্রহী। কিন্তু বিলম্ব ও হয়রানির কারণে তারা বেনাপোল বন্দর থেকে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রকৃতি ভারতীয় পণ্যের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে বেনাপোলে রেলকার্গো চালু অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ রেল কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ট্রাকে বাহিত পণ্য বেনাপোল আসতে যেখানে ৫ থেকে ৭ দিন লাগে, সেখানে রেলকার্গোতে পৌঁছাতে লাগবে মাত্র ৩ ঘণ্টা।