জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় ব্যাপক প্রশংসিত বাংলাদেশ পুলিশ
১৯৮৯ সালে আফ্রিকান দেশ নামিবিয়ায় মিশনের মাধ্যমে শান্তিরক্ষায় যাত্রা শুরু বাংলাদেশ পুলিশের। ২২টি দেশে এরই মধ্যে শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করেছে বাহিনীটি। সংঘাত ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক প্রশংসা ও সুনাম কুড়িয়েছে তারা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশের প্রায় ২০ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করেছে। আজ ২৯ মে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস।
জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ ৩০ বছর পূর্ণ করেছে। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক আইন ও বিধি, সংঘাতপূর্ণ দেশগুলোর স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা এবং নিরপেক্ষভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা। ১৯৮৯ সালে নামিবিয়ায় শান্তিরক্ষার মাধ্যমে প্রথম যাত্রা শুরু হয়। জাতিসংঘের পাশে থেকে বিরতিহীন ভাবে কাজ করছে তারা। ২০০৫ সালে স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশেষায়িত ফর্মড পুলিশ ইউনিট শুরু করে। ২০১০ সালে পূর্ণাঙ্গ নারী পুলিশ ইউনিট পাঠানো হয়। যা শান্তিরক্ষার ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়া ২০১৩ সালে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশ ইন্টারমিশন কো-অপারেশনের আওতায় ২৪ ঘণ্টায় বিশেষায়িত কন্টিনজেন্ট সাউথ সুদানে পাঠায়। যা শান্তিরক্ষার ইতিহাস বিরল ঘটনা। এ পর্যন্ত ২২টি শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় ২০ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করেছে। বিশেষ করে- হাইতি, পূর্ব তিমুর, কসোভো, বসনিয়া, সুদান এসব দেশে পুলিশ সদস্যরা সুনাম অর্জন করেছে। দেশগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ইন্টারনালি ডিসপ্লেজড, রিফিউজিদের পুনর্বাসনে সহায়তা ও নিরাপত্তায় সহায়তা করে যাচ্ছে। এর বাইরে শান্তিরক্ষীদের মানবিকতার দৃষ্টান্ত আন্তর্জাতিকভাবে বেশ প্রশংসিত।
বিশেষ করে অসহায়দের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, চিকিৎসা সেবা খুব প্রশংসিত। বর্তমানে চারটি ফর্মড পুলিশ ইউনিট, ইন্ডিভিজুয়াল পুলিশ অফিসারসহ ৬৫৭ জন পুলিশ সদস্য বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছে। এদের মধ্যে ১৫৭ জন নারী পুলিশ সদস্য রয়েছে। শান্তিরক্ষা করতে গিয়ে এডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল মিস রওশন আরাসহ প্রায় ২২ জন পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। আর আহতও হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য। (ঢাকাটাইমস/২৯মে/এসএস/জেবি)