আম্পানের পর বিদ্যুৎ আসেনি, প্রতিবার মোবাইল চার্জের বিল ৩০ টাকা

সমকাল প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২০, ১৮:২৭

সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা এখনও বিদ্যুৎবিছিন্ন রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র চার্জ দিতে জেনারেটরের দোকানে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। ইঞ্জিনভ্যানযোগে জেনারেটর এক স্থান থেকে আসুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা এখনও বিদ্যুৎবিছিন্ন রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র চার্জ দিতে জেনারেটরের দোকানে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। ইঞ্জিনভ্যানযোগে জেনারেটর এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতেও চার্জ দেওয়া হচ্ছে।


ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে গত ২০ মে থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিদ্যুৎবিছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। আম্পানের পর সরকারি দফতরগুলোতে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও বাড়িঘর ও বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রের ব্যাটারি চার্জ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।উপজেলার কাকডাঙ্গা বাজারের মকলেছুর রহমান বলেন, প্রতিটি ফোন চার্জ দিতে নিচ্ছে ৩০ টাকা। এছাড়াও টর্চলাইট চার্জ দিতেও নিচ্ছে ৩০ টাকা।তিনি আরো বলেন, এই দুর্যোগের সময় ৩০ টাকা অনেক। যদি ১০ টাকা করে চার্জ দিতে নিতো তাহলে সবার সুবিধা হতো।বাগাডাঙ্গা গ্রামের শামিম আহমেদ বলেন, দোকানে যারা মোবাইল ফোন বা টর্চলাইট চার্জ করতে দিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতিটা ফোন ও লাইটে নাম ও নম্বর লিখে রেখে দেওয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন থাকায় ৩০ টাকা দিয়েই মোবাইল চার্জ করে নিচ্ছেন অনেকে। টাকা একটু কম নিলে সকলের সুবিধা হতো।স্থানীয়রা জানান, বর্তমান অবস্থায় কলারোয়ার বিভিন্ন বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেকেই এখন ফোনের ব্যাটারি চার্জ দেয়ার সাময়িক ব্যবসায় নেমেছেন।


উপজেলার কাকডাঙ্গা মোড়, বোয়ালিয়া, ফকিরপাড়ার মোড়, শাকদাহ, যুগিখালী, বুইতা, মাদরা, গয়ড়া, বুঝতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে লম্বা লাইন ধরেছে মানুষ।সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (কারিগরী) প্রকৌশলী মাসুম আহম্মেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সাতক্ষীরা জেলায় ১ হাজার ৭৮২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তার ছিঁড়েছে বহু স্থানে। এই পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরার প্রতিটি উপজেলায় লাইন সংস্কারের কাজ চলছে। তবে কলারোয়া উপজেলায় সব থেকে বেশি বিদ্যুৎ লাইনে ক্ষতি হয়েছে। তারপরও আমাদের কর্মীরা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। সব ঠিক থাকলে দুই এক দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।রেক স্থানে নিয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতেও চার্জ দেওয়া হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও