করোনা মোকাবেলা নিয়ে মমতা-অমিত বাগযুদ্ধ
মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলা নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। ট্রেনে করে অভিবাসী শ্রমিক রাজ্যে পাঠানোয় পশ্চিমবঙ্গে করোনা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ছে অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। এ নিয়ে আগেও নানান অভিযোগের তীর ছোঁড়াছুঁড়ি করেছেন তারা দু’জন। তবে বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে।
এদিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেড় লাখ পেরিয়ে গেছে এবং মারা গেছেন সাড়ে ৪ হাজার। করোনার কারণে এ পর্যন্ত কাজ হারিয়ে বেকারত্বের শিকার হয়েছেন দেশটির ১২ কোটি মানুষ। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সকালে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, দেশজুড়ে করোনায় আগের ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৫৬৬ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১৯৪ জন। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি ঘটলো ৪ হাজার ৫৩১ জনের। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের শিকার হয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য। মহারাষ্ট্রসহ অন্যান্য বেশি আক্রান্ত এলাকা থেকে অভিবাসী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে থাকায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে করোনার সংক্রমণ গত দুদিন ধরে বেড়েছে। ট্রেনে করে এসব শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরছে। এ নিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে নতুন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে রাজ্য সরকারের।
এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চিঠি দিয়ে মমতাকে বলেছিলেন, করোনা মোকাবেলায় ভুল পথে হাঁটছে রাজ্য। এ নিয়ে ফুঁসেই ছিলেন মমতা। এখন ট্রেনে করে অভিবাসী শ্রমিকদের ঢল নামায় অমিতের প্রতিই তোপ দাগলেন তৃণমূলপ্রধান। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের মোকাবেলা প্রসঙ্গে তার কথা হয়েছে। মমতা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন যদি তিনি মনে করে থাকেন রাজ্য সরকার করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থ, তাহলে তিনি নিজেই কেন দায়িত্ব নিয়ে চেষ্টা করে দেখছেন না।’ মমতা জানান, ‘উত্তরে তিনি বলেছেন... না, না, আমরা কী করে একটা নির্বাচিত সরকারকে স্থানচ্যুত করতে পারি।’মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অমিত শাহকে বলতে চাই, টেক কেয়ার। আপনারা লকডাউন করেছেন। কিন্তু ট্রেন ও প্লেন চলছে।